চুয়াডাঙ্গাকে বন্যপ্রাণীর অভয়ারণ্য ঘোষণা

ডেস্ক,৫ জুন: মঙ্গলবার (০৫জুন) বিশ্ব পরিবেশ দিবসে দেশের চুয়াডাঙ্গা জেলাকে সর্বপ্রথম জেলা হিসেবে বন্যপ্রাণী ও পাখির মুক্ত অভয়ারণ্য ঘোষণা করা হয়েছে। বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য হলো এমন এলাকা, যেখানে বন্যপ্রাণী ও পাখিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয় এবং তাদের প্রজনন ও আবাস নিরাপদ রাখতে শিকারীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।

সাধারণত বন্যপ্রাণীর নিরাপদ পরিবেশ, তাদের স্বাভাবিক কিংবা বর্ধিত প্রজনন পরিবেশ, বন্যপ্রাণীর স্বাভাবিক সংখ্যা এবং বৃক্ষরাজি কিংবা ঔষধি বৃক্ষরাজির নিরাপদ সংরক্ষণে সরকার কিংবা নির্বাহী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক কোনো এলাকাকে অভয়ারণ্য ঘোষণা করা হয়।

অভয়ারণ্য ঘোষণা করার মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয়, ঐ এলাকার পাখি যেন ক্রয়/বিক্রয় বা ধ্বংস না হয়। পশুপাখিদের শান্তি ও নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে এমন কাজ থেকে যেন এই এলাকা মুক্ত থাকে। পাশাপাশি, বাইরে থেকে শিকারীরা যাতে সেখানে প্রবেশ না করতে পারে।

এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক জনাব জিয়াউদ্দীন আহমেদ জানিয়েছেন চুয়াডাঙ্গা জেলার জেলা প্রশাসকের বাসভবন, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, ডিসি ইকো পার্ক এবং সার্কিট হাউজকে পাখির অভয়াশ্রম তৈরি ও ঘোষনা করা হয়েছে। সদর উপজেলার বেলগাছি গ্রাম কয়েক বছর যাবত “পাখির গ্রাম” নামে পরিচিত, এখন পুরো গ্রামটিই পাখির অভয়ারণ্য। দামুড়হুদা উপজেলার দলকা বিল, আলমডাঙ্গা উপজেলার পাখির গ্রাম বন্ডবিল অভয়ারণ্য হিসেবে ঘোষিত। সদর উপজেলা পরিষদ চত্বর, দৈনিক মাথাভাঙ্গা পত্রিকা অফিস, চুয়াডাঙ্গা ও আলমডাঙ্গা রেল স্টেশন, চুয়াডাঙ্গা সরকারি অফিসার্স কোয়ার্টারেও পাখির জন্য নিরাপদ আবাসস্থল তৈরি ও সংরক্ষণ করা হচ্ছে। জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের ফরমান মন্ডলের বাগানবাড়িও পাখির অভয়ারণ্যের অর্ন্তভুক্ত হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী ও পাখির মুক্ত অভয়ারণ্য হিসেবে প্রথম জেলা চুয়াডাঙ্গাকে ঘোষনা করে জেলাবাসীকে মঙ্গলবার (৫ জুন) থেকে এই সাফল্যের গর্বিত অংশীদার হিসেবে আইন মান্য করে সহযোগিতা করার আহবান জানানো হয়েছে।

Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।