বয়স হওয়াকে দেহের একমুখী ব্যবস্থা হিসেবে মনে করা হয়। বয়সের মাধ্যমে দেহযন্ত্রের যে সব পরিবর্তন ঘটে তা রোধ করা বা পূর্বাবস্থায় ফিরে যাওয়ার আর কোনো উপায় থাকে না। কিন্তু এই প্রথমবার হার্ভাডের গবেষকরা বয়সের কোনো কোনো প্রতিক্রিয়া নস্যাত করে দেহযন্ত্রের কিছু কিছু ব্যবস্থাকে পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছেন।
এনএডি নামের একটি রাসায়নিককে কেন্দ্র করে এ গবেষণা চালানো হয়। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দেহের কোষকলাগুলোতে এনএডি’র উপস্থিতি কমতে থাকে। মাইটোকন্ডিয়াকে দেহ কোষকলার শক্তিকেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে। এনএডি’র পরিমাণ কমতে শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে মাইটোকন্ডিয়ার শক্তি উৎপাদন হ্রাস পায়। আর দেহে বয়সের ছাপ পড়তে থাকে।
গবেষকরা ইঁদুরের দেহ কোষে এনএডি’র পরিমাণ বৃদ্ধি করার জন্য একটি বিশেষ রাসায়নিক উপাদান প্রয়োগ করেছেন। দেহে এ রাসায়নিক উপাদান প্রাকৃতিকভাবেই এনএডি’তে রূপান্তরিত হয়ে থাকে।
দুই বছর ইঁদুর দেহে এক সপ্তাহ এ পরীক্ষা চালানোর ফলে সংশ্লিষ্ট ইঁদুরের দেহ কোষকলার মাইটোকন্ডিয়াগুলো তৎপরতার দিক থেকে ছয়মাসে বয়সী হয়ে গেছে। পেশীর ক্ষয়, প্রদাহ এবং ইনসুলিন প্রতিরোধের ভিত্তিতে এ হিসেব করা হয়েছে।
by