চাটমোহরের ছাত্রী সীমার চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন ছাত্রলীগ নেতা আতিক

আফতাব হোসেন, পাবনা।
পাবনার চাটমোহর উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের বালুদিয়াড় গ্রামের মেধাবী ছাত্রী সীমা খাতুনের চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা ও চাটমোহরের সন্তান মো. আতিকুর রহমান আতিক।

গতকাল সীমার বাড়িতে গিয়ে তার বাবা-মাকে এ কথা জানান তিনি। তিনি সীমা ও তার পরিবারের সাথে বেশ কিছু সময় কাটান এবং তার রোগের বিষয়ে সবকিছু মনযোগ দিয়ে শোনেন। এ সময় সীমার বাড়িতে উপস্থিত সবার মাঝে এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। সম্প্রতি পত্রিকায় ‘স্কুলে যেতে চায় সীমা’ এমন সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি নজরে আসে সাবেক এই ছাত্র নেতার।
আতিকুর রহমান আতিক বলেন, ‘এ রকম মানবিক বিষয় আমরা অবহেলা করতে পারি না। এর মতো মহৎ কাজ আর কী হতে পারে। এখন আমার দায়িত্ব হচ্ছে আগামী একসপ্তাহের মধ্যে সীমাকে ঢাকায় নিয়ে গিয়ে পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করানো। এলাকার ছেলে হিসেবে এটা আমার দায়িত্ব। আমি সব সময় এলাকাবাসীর পাশে থেকে কাজ করতে চাই। আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন।’

প্রসঙ্গত, উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের বালুদিয়ার গ্রামের জাদু প্রামানিক ও রাজিয়া খাতুন দম্পতির ছোট মেয়ে সীমা। জগতলা সিদ্দিকিয়া দাখিল মাদ্রাসায় ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়–য়া মেধাবী এই ছাত্রীর বাম পায়ে অস্থি প্রদাহ এবং পরবর্তীতে অস্থি সন্ধির জড়তার কারণে এখন সে পঙ্গু হওয়ার পথে। দিনমজুর বাবা সাধ্যমতো চেষ্টা করেছেন মেয়েকে সারিয়ে তুলতে। বড় মেয়ের বিয়ের জন্য গচ্ছিত ৮০ হাজার টাকা, এনজিও থেকে ঋণ ও কিছু মানুষের কাছ থেকে সুদে টাকা নিয়ে সীমার অপারেশন করান। দীর্ঘ ছয় মাস অতিবাহিত হলেও পায়ের কোন উন্নতি নেই সীমার। ঘরের বাইরে বের হতে গেলে বাবা অথবা মা’র কোলে চড়ে বের হতে হয়। আবারও সুস্থ হয়ে স্কুলে যেতে চায় সীমা।

Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।