বিবিসি ডেস্ক: বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার কাছে ধামরাইয়ে একটি চলন্ত বাসে ধর্ষণের অভিযোগ এসেছে।
ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.রিয়াজউল হক বলছিলেন, লোকাল একটা বাসে একজন তৈরি পোশাক শ্রমিক গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন।
তিনি বলছিলেন এই বাসের কোন নাম নেই, এটা লোকাল বাস এবং শ্রমিকরা এতে যাওয়া-আসার কাজ করে।
মি.হক বলছিলেন রাত আনুমানিক দুইটার দিকে ঐ বাসে বাসের চালক, হেলপার এবং তাদের সাথে আরো তিনজন ছিল। তারা ধর্ষণ করে ঐ গার্মেন্ট শ্রমিককে।
পুলিশ বলছে মেয়েটির অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ বাদী হয়ে ধর্ষণ মামলাটি করেছে।
মেয়েটি এখন তাদের হেফাজতে রয়েছে।
বাংলাদেশে এর আগেও চলন্ত বাসে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।
গত বছরের অগাস্টে টাঙ্গাইলের মধুপুরে চলন্ত বাসের মধ্যে এক তরুণীকে ধর্ষণের পর হত্যা করে জঙ্গলে লাশ ফেলে দেয়।
ঐ ঘটনায় দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়।
পুলিশ বলছে, টাঙ্গাইলের মধুপুরে এক তরুণীর মৃতদেহ বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা হয়েছিল।
তাঁর আত্মীয়-স্বজন ছবি দেখে লাশ সনাক্ত করার পর তরুণীটিকে বাসের মধ্যে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণ ও হত্যার এই ঘটনা ফাঁস হয়।
সেই ঘটনার ছয় মাসের মধ্যে বিচার কাজ সম্পন্ন হয় যেটা বাংলাদেশে বিরল। ঐ ঘটনায় পাঁচ আসামীর মধ্যে ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড আর একজনের সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়ে তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা করেছে আদালত। এ টাকা এবং যে বাসে ঘটনাটি ঘটেছে সে বাসটি আদালতের আয়ত্তে নিয়ে রূপার পরিবারকে দেয়ার নির্দেশও দেন আদালত।