নিজস্ব প্রতিবেদক,১৩ ডিসেম্বর ২০২১
করোনা প্রতিরোধে চলতি মাসেই বুস্টার ডোজ দেয়া শুরু হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।
আরো খবরঃ ওমিক্রনে প্রথম মৃত্যু দেখলো ব্রিটেন
এছাড়া বুস্টার ডোজ ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন ষাটোর্ধ্ব ও ফ্রন্টলাইনাররা, সে জন্য সুরক্ষা অ্যাপও আপডেট করা হবে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘বুস্টারের সিদ্ধান্ত আমরা নিয়েছি, আমরা বুস্টার ডোজ দেবো। যারা ষাটোর্ধ ব্যক্তি, ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কার যারা আছে তাদেরও দেয়ার পরিকল্পনা নিয়েছি। এ বিষয়ে কার্যক্রম চলছে। নির্দেশনা আমরা দিয়েছি। সুরক্ষা অ্যাপে কিছু আপডেট করতে হবে। আশা করছি, এ মাসেই কাজ শুরু করতে পারবো।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, বুস্টার ডোজ দিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যে প্রস্তুতি সেটাও হয়ে যাবে। আইসিটির প্রস্তুতিটাও আমরা করে ফেলতে পারবো। একটা প্রায়োরিটি সেট (নির্ধারণ) করতে হয়। সেই অনুযায়ী যারা বয়স্ক বা মৃত্যু-ঝুঁকি বেশি তাদের আমরা আগে দেবো। যারা ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কার তাদেরও দেবো। সবাইকে দেয়ার পরে উন্মুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের হাসপাতালগুলো যেভাবে ছিল আমরা সেভাবেই রেখেছি। এটাকে আরও জোরদার করা হয়েছে। আমরা প্রায় ৮০টি জেনারেটর স্থাপন করছি, অক্সিজেন জেনারেটর। এর মধ্যে ৩০টি স্থাপনের কাজ প্রায় সমাপ্তির পথে। বাকিগুলো আগামী অল্পদিনের মধ্যে দেশে আসলে আমরা লাগিয়ে দেবো।
টিকার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, আমরা এ পর্যন্ত ১১ কোটি টিকা দিয়েছি। এ মাসে আরও দেড় থেকে দুই কোটি টিকার দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। টিকা আমাদের হাতে প্রায় ৪ কোটি আছে। আজকেও ইউকে থেকে ৪০ লাখ ডোজ টিকা পাবো। টিকার কোনো অসুবিধা নেই।
ওমিক্রনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এই ভাইরাসটি এখনো খুব ক্ষতিকারক না। এটি সাংঘাতিক সংক্রামক কিন্তু মৃত্যুর খবর কোথাও আমরা পাইনি। আমাদের এজন্য সজাগ থাকতে হবে। গতকালও আমরা দেখেছি ১ দশমিক ৫ সংক্রমণের হার। এটি এখন কিছুটা বাড়তির দিকে। আমাদের মৃত্যুও ৬ হয়েছে গতকাল, এটা শূন্য, ১ বা ২-এ ছিল। স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমাদের চলতে হবে। টিকা যারা নেননি তাদের আহ্বান করবো টিকা নিয়ে আপনারা সুরক্ষিত হয়ে যান।’
অন্তত ৮০ শতাংশ মানুষ দুই ডোজ টিকা পাওয়ার আগে তৃতীয় ডোজের পক্ষে ছিলেন না বাংলাদেশের গবেষক ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশে মাত্র ২৫ শতাংশের মতো মানুষ দুই ডোজ টিকা পেয়েছেন।