গৌতম চন্দ্র বর্মন,ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রায়পুর গ্রামের জয়নুল ইসলামের ছেলে ইমতিয়াজ (১৫)। স্থানীয় বাকসিড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের মানবিক বিভাগের চলমান এসএসসি পরিক্ষার্থী সে।
বাবা-মায়ের স্বপ্ন ছিল এসএসসি পাশ করে ভাল একটি কলেজে ভর্তি হবে মেধাবী ছাত্র ইমতিয়াজ। কিন্তু এই স্বপ্ন পরিক্ষা শুরুর একদিন আগে নষ্ঠ হয়ে গেছে।
দুই ফেব্রুয়ারি সকালে ফকদনপুর পটুয়া থেকে প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে বিদায় নিয়ে বাইসাইকেলে বাড়ি ফিরছিল ইমতিয়াজ। পথে পটুয়া-ভাউলার হাট সড়কে পটুয়া কমিউনিটি ক্লিনিকে সামনে একই ইউনিয়নের ঝারপাড়া গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে জাকারীয়া দ্রুত গতিতে ইমতিয়াজের সাইকেলের উপর মোটরসাইকেল উঠেয়ে দিলে গুরুতর আহত হয় সে। পরে তাকে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করলে মাথায় একাধিক শেলাই করে কর্তব্যরত চিকিৎসক।
বর্তমানে সে আধুনিক সদর হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে ভর্তি আছে। ঐ অস্থায় ইমতিয়াজ চলতি এসএসসি পরিক্ষায় অংশ গ্রহণের জন্য ছটপট করছে।
ইমতিয়াজের বাবা জয়নুল ইসলাম বলেন, এসএসসি পরিক্ষার আগের দিন আমার ছেলেকে পাশের গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে জাকারীয়া মোটরসাইকেল দিয়ে গ্রুরুতর আহত করে। এ কারণে ইমতিয়াজের জীবন থেকে ১ বছর হারিয়ে গেল। ছেলে একটু সুস্থ হলে জাকারীয়ার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করবো। আমি এর বিচার চাই।
এ বিষয়ে জাকারীয়ার পরিবার থেকে বলা হয়েছে এটি একটি দূর্ঘটনা। সে কারণে হাসপাতালে আহত ইমতিয়াজকে দেখে ১ হাজার টাকা দেওয়া হচ্ছিল কিন্তু তারা নেয়নি।
ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের চিকিৎসক মনজুর মোর্শেদ বলেন, ইমতিয়াজের অবস্থা আগের চেয়ে কিছুটা ভাল। মাথায় আঘাতের ফলে কয়েকটি শেলাই করতে হয়েছে। শরীরও আঘাত প্রাপ্ত হয়েছে।
ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভীরুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।