ডেস্ক,২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৩: বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৬৮ হাজারের বেশি শিক্ষক নিয়োগের প্রাথমিক সুপারিশ চলতি মাসে করার কথা থাকলেও সেটি সম্ভব হবে না বলে মনে করছে নিয়োগ সুপারিশকারী প্রতিষ্ঠান। এর কারণ হিসেবে আবেদন যাচাই-বাছাইকারী প্রতিষ্ঠান টেলিটককে দায়ী করছে সংস্থাটি।
সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার সাথে কথা বলে এমন তথ্য জানা গেছে।
এনটিআরসিএ’র কর্মকর্তারা বলছেন, শিক্ষক নিয়োগের ফল প্রস্তুত করে টেলিটক। দ্রুত সময়ের মধ্যে টেলিটককে ফল প্রস্তুতের নির্দেশনা দেওয়া হলেও তারা ফল তৈরির কাজ শেষ করতে পারেনি। ফল তৈরির কাজ শেষ না হলে তারা মন্ত্রণালয়ের কাছে প্রাথমিক সুপারিশের অনুমতি চাইতে পারবেন না। এই অবস্থায় ফেব্রুয়ারিতে নিয়োগের প্রাথমিক সুপারিশ করা সম্ভব হবে না।
ওই কর্মকর্তারা আরও জানান, প্রাথমিক সুপারিশের ফল প্রকাশে মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিতেই হবে। কেননা চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের সুযোগ চেয়ে ইনডেক্সধারী শিক্ষকরা আদালতে রিট করেছেন। তাই মন্ত্রণালয়ের অনুমতি ছাড়া চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তির প্রাথমিক সুপারিশ করা সম্ভব হবে না।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এনটিআরসিএ’র সচিব মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তির প্রাথমিক সুপারিশের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও সেটি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে না। কেননা টেলিটক এখনও আবেদন যাচাই-বাছাইয়ের কাজ শেষ করতে পারেনি।
কবে নাগাদ চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তির প্রাথমিক সুপারিশে করা হতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, এটি সুনির্দিষ্টভাবে বলা মুশকিল। কেননা টেলিটক আবেদন যাচাই-বাছাইয়ের কাজ শেষ করার পর আমরা মন্ত্রণালয়ের অনুমতি চাইব। মন্ত্রণালয় যখন অনুমতি দেবে তখনই ফল প্রকাশ করা হবে।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ২২ ডিসেম্বর ৬৮ হাজার ৩৯০ জন শিক্ষক নিয়োগের চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ। এর মধ্যে স্কুল ও কলেজ পর্যায়ে ৩১ হাজার ৫০৮ জন এবং মাদরাসা, ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা ও কারিগরি স্কুল-কলেজে ৩৬ হাজার ৮৮২ জন নিয়োগ দেওয়া হবে। গত ২৯ ডিসেম্বর থেকে আবেদন শুরু হয়ে চলতি বছরের ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত চলে।