নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম :
চট্টগ্রামের যৌন নিপীড়ক শিক্ষক আবুল হাশেম ঢাকায় গ্রেপ্তারের পর বুধবার সকালে তাকে চট্টগ্রামে নিয়ে আসা হয়েছে। আজই তাকে চট্টগ্রাম আদালতে সোপর্দ করা হবে।
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানার চরপাথরঘাটা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ুয়া তিন স্কুলছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ রয়েছে। এই তিন স্কুলছাত্রীর একজনের অভিভাবক গত সোমবার রাতে কর্ণফুলী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলায় বলা হয়, প্রতিদিন ছুটি শেষে বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে ছেলে মেয়েদের প্রাইভেট পড়াতেন ওই শিক্ষক। সেখানে বর্ণিত স্কুলছাত্রীটিও প্রাইভেট পড়তো। গত ১ মার্চ থেকে পরবর্তী ১৫ দিন স্কুলছাত্রীটি প্রধান শিক্ষকের কাছে আর প্রাইভেট পড়তে যায়নি। প্রাইভেটে না যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে সে তার মাকে জানায়, প্রধান শিক্ষক আবুল হাশেম তার শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেন। অন্য ছেলেমেয়েরা তা দেখলে তাদেরকে মারধর করেন। একইভাবে আরো দুই শিশুকেও যৌন নিপীড়ন করেছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে মামলার এজাহারে।
অভিযুক্ত শিক্ষক পালিয়ে ঢাকায় এলে মঙ্গলবার মিরপুর থেকে গ্রেপ্তার হন। বুধবার সকালে তাকে চট্টগ্রামে নিয়ে আসা হয়। আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আজ বিকেলের মধ্যেই এই শিক্ষককে আদালতে সোপর্দ করা হবে বলে কর্ণফুলী থানার ওসি (তদন্ত) ইমাম হাসান জানিয়েছেন ।
কর্ণফুলী জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) জাহেদুল আলম জানান, প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ নিয়ে শিশুটির অভিভাবক থানায় আসলে তা গুরুত্ব সহকারে দেখা হয়। শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। পরে ঢাকার মিরপুর থেকে উক্ত শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়।
এদিকে নিপীড়নের শিকার তিন স্কুলছাত্রী ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে। মঙ্গলবার চট্টগ্রাম সিনিয়র মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এসএম মাসুদ পারভেজের আদালতে তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।
অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (প্রসিকিউশন) নির্মলেন্দু বিকাশ চক্রবর্তী জানান, নিপীড়নের শিকার তিন ছাত্রী আদালতে ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ দিয়ে জবানবন্দি দিয়েছে।