তবে গবেষকরা সম্প্রতি এমন একটা উপায় খুঁজে পেয়েছেন যা ঘুমের মধ্যেই স্মৃতিশক্তি বাড়াতে কাজ করবে। যুক্তরাষ্ট্রের নিউ মেক্সিকো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নিকোলাস কেজ ও প্রাভিন পিল্লাইয়ের নেতৃত্বে হয় এই গবেষণা।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে করা এই সংক্রান্ত গবেষণার নিবন্ধটি জেনিউরোসায়েন্স নামের গবেষণা সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে।
এ বিষয়ে সায়েন্স ডেইলি পত্রিকার এক খবরে বলা হয়েছে, গবেষকরা স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর জন্য ঘুমের মধ্যেই মস্তিষ্ককে বাহ্যিক উদ্দীপনা দেন। তারা দেখেন কোনো ধরনের ক্ষতি ছাড়াই এই কৌশলে মানুষের স্মৃতিশক্তি বাড়ছে। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হলো এই পদ্ধতিতে সুস্থ মানুষ থেকে শুরু করে রোগীদেরও স্মৃতিশক্তি বাড়ানো যায়।
সায়েন্স ডেইলি বলছে, এই পদ্ধতিতে আসলে মস্তিষ্কের এক অংশ থেকে আরেক অংশে স্মৃতি স্থানান্তর করা হয়। গবেষকরা মানুষের ঘুমের মধ্যে সিঙ্ক্রোনাইজেশনের মাধ্যমে মস্তিষ্কের হিপ্পোক্যাম্পাস এলাকার স্মৃতিকে নিওকর্টেক্সে স্থানান্তর করেন।
অধ্যাপক নিকোলাস কেজ ও প্রাভিন পিল্লাই দীর্ঘদিন ধরেই প্রাকৃতিক উপায়ে স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর জন্য কাজ করছিলেন। এই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি তারা ক্লোস-লুপ একমুখী বৈদ্যুতিক উদ্দীপনা চালনা করেন। তবে এর কারণে যেন ঘুমের কোনো ব্যাঘাত না ঘটে সে বিষয়েও সচেতন ছিলেন গবেষকরা।
গবেষণার অংশ হিসেবে, অংশগ্রহণকারীদের কিছু বিষয় আগে দেখানো হয় ও কিছু বিষয় শনাক্ত করতে দেওয়া হয়। পরের দিন সে বিষয়গুলো সম্পর্কে তাদের কাছে জানতে চাওয়া হয়। তখন দেখা যায় সারা রাত যাদের মস্তিষ্কে উদ্দীপনা দেওয়া হয়েছিল তারা অন্যদের তুলনায় আগের দিন দেখানো বিষয়গুলো নির্ভুলভাবে বলতে পারছেন বা ছবিতে দেখানো বিষয়গুলো শনাক্ত করতে পারছেন।
গবেষকদের আশা নতুন এই পদ্ধতি ভবিষ্যতে স্নায়ুর রোগের চিকিৎসায়ও সহায়তা করবে।