নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন এলাকায় রাষ্ট্রায়ত্ত মোবাইল অপারেটর প্রতিষ্ঠান টেলিটকের নেটওয়ার্ক অত্যন্ত দুর্বল হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে দর্শনা,দামুড়হুদা,চুয়াডাঙ্গা,আলমডাঙ্গাসহ প্রায়ই নেটওয়ার্কশূন্য হয়ে পড়ে। থ্রিজি সেবা দিতে অগ্রাধিকার পাওয়া এই প্রতিষ্ঠানের থ্রিজি সেবা দিতে তো পারেই না সাধারণ টুজি নেটওয়ার্কও অনেক সময় পাওয়া যায় না। চুয়াডাঙ্গা জেলায় এই সমস্যা একেবারেই প্রকট হয়ে দেখা দিয়েছে। আর অহরহ ঘটে কলড্রপের ঘটনা। এলাকার বিভিন্ন ভবনে প্রবেশের পর বিচ্ছিন্ন হচ্ছে টেলিটকের নেটওয়ার্ক। এসব কারণে ওই এলাকাগুলোতে যাওয়া টেলিটক গ্রাহকরা হয়ে পড়েন যোগাযোগশূন্য।
গ্রাহকদের অভিযোগ, দর্শনা এলাকার প্রবেশ করলেই টেলিটকের নেটওয়ার্ক এরর দেখায়। তখন ফোন করাও যায় না, আসেও না। কেউ ফোন করলে অপর প্রান্তে শুনতে পান, এ মুহূর্তে সংযোগ দেয়া সম্ভব হচ্ছে না বা আপনার ডায়ালকৃত নম্বরটি বন্ধ আছে অথবা নেটওয়ার্ক বিজি।
এরপর যদি পাওয়াও যায়, কথা বলা শেষ হওয়ার আগেই লাইন কেটে যায় বা কোনো কথাই বোঝা যায় না। আর যেসব গ্রাহক ওইসব এলাকায় সকাল ৯টা থেকে বিকাল পর্যন্ত অফিস করেন তাদের সঙ্গে সবার টেলিযোগাযোগ ওই সময় পর্যন্ত বন্ধ থাকে। এ অবস্থায় বিরক্ত হয়ে অনেকেই অন্য অপারেটরে চলে যাচ্ছেন। দীর্ঘদিনের এ সমস্যার বিষয়ে একাধিকবার টেলিটকের কাস্টমার কেয়ারে অভিযোগ জানালেও কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি।
টেলিটকের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, যেসব আমাদের পর্যাপ্ত বিটিএস বা টাওয়ার না থাকায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। আগে যেসব বিটিএস বসানো হয়েছিল সেগুলো দিয়েই কাজ চলছে। পাশাপাশি গ্রাহক সংখ্যাও বাড়াচ্ছে। ফলে দেখা দিয়েছে নেটওয়ার্ক সমস্যা।
থ্রিজি সেবায় টেলিটক সাশ্রয়ী মূল্যে ২৫৬ কেবিপিএস থেকে শুরু করে ৪ এমবিপিএস পর্যন্ত দ্রতগতির মোবাইল ইন্টারনেট সেবা দিয়েও গ্রাহক টানতে পারছে না। আর এটা হচ্ছে কেবল প্রতিষ্ঠানটির সেবার মান যুগোপযোগী না হওয়ায়। এদিকে আগামী মাসে বেসরকারি চার মোবাইল অপারেটরের স্বল্প পরিসরে থ্রিজি সেবা চালু করলে বর্তমান সেবার মানে ছিটকে পড়বে টেলিটক। তাই প্রতিষ্ঠানটির নেটওয়ার্কের দিকে মনোযোগ দেয়া জরুরি বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।