সেই প্রবাদটা আর বোধহয় বলা যাবে না, ‘এক বালতি দুধে এক ফোঁটা চোনা’। কেননা এখন এই চোনাই হয়ে উঠেছে সোনা! বিষয়টা একটু খোলসা করে বলা যাক।
গুজরাতের গিরে গোমূত্রে নাকি সোনা মিলেছে! একটা বা দুটো নয়, ৪০০টি গরুর মূত্রে পাওয়া গিয়েছে সোনা! কী, অবিশ্বাস্য মনে হচ্ছে তো? না, এই অবিশ্বাসকে প্রমাণস্বরূপ বিশ্বাস্য করে তুলেছেন জুনাগড়ের বিজ্ঞানীরা।
গোমূত্রের যে অনেক গুণ রয়েছে সেটা হিন্দু ধর্মগ্রন্থে বলা রয়েছে। প্রাচীনকাল থেকে গোমূত্র বিভিন্ন ওষুধ তৈরির কাজে লাগানো হয়। কিন্তু গোমূত্রে সোনা! কখনও শুনেছেন? জুনাগড় কৃষি বিশ্বিদ্যালয়ের এক দল বিজ্ঞানী এই দাবি করেছেন যে, গোমূত্রে সোনা রয়েছে। বিজ্ঞানী বি এ গোলাকিয়ার নেতৃত্বে একটি দল অনেক দিন ধরেই গোমূত্র নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছিলেন। গোলাকিয়া বলেন, “ধর্মগ্রন্থে গোমূত্রে সোনা থাকার কথা লেখা রয়েছে। বিষয়টা সত্যি কিনা তা দেখতে গবেষণা শুরু হয়। ৪০০ গরুর মূত্র পরীক্ষা করে দেখা হয়। আশ্চর্যজনক ভাবে ধর্মগ্রন্থে লেখা সেই কথাটাই সত্য হিসাবে বেরিয়ে আসে!”
কী ভাবে রয়েছে এই সোনা তা-ও জানিয়েছেন গোলাকিয়া। গোমূত্রের মধ্যে আয়নিত অবস্থায় রয়েছে এই মূল্যবান ধাতুটি। যাকে গোল্ড সল্ট বলা হয়। যা জলে সহজেই মিশে যায়। এ ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে বলে জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁরা আরও জানান, ক্রোম্যাটোগ্রাফি মাস স্পেক্ট্রোমেট্রি (জিসি-এমএস) পদ্ধতিতে গোমূত্রের পরীক্ষা করা হয়। রাসায়নিক ব্যবহার করে ধাতব রূপে সোনা বের করে নিয়ে আসা হয়েছে গোমূত্র থেকে। বিজ্ঞানীরা গিরের মোষ, ছাগল এবং ভেড়ার মূত্রও পরীক্ষা করেন। কিন্তু না! কোনও কিছুই মেলেনি। একমাত্র গোমূত্রেই সোনা দ্রবীভূত অবস্থায় রয়েছে, এটা প্রমাণিত বলে জানিয়েছেন গোলাকিয়া। তিনি বলেন, “এ বার দেশের ৩৯টি বিভিন্ন প্রজাতির গরুর মূত্র পরীক্ষা করে দেখা হবে, তাতেও সোনা রয়েছে কিনা।