বলিউডের ভাইজান খ্যাত সালমান খানের বিয়ে নিয়ে অনুরাগীদের মাঝে চলে বেশ কৌতূহল। বয়সও ষাট ছুঁইছুঁই এই নায়কের। অথচ এখনও বিয়ে করেননি তিনি। কখনও বিয়ের পিঁড়িতে বসবেন কী না, এই আশাও ছেড়ে দিয়েছেন তার অনেক অনুরাগীরা।
তবে সালমানের বিয়ে করার ওপর আগ্রহ না থাকলেও প্রেমে জড়িয়েছেন ইন্ডাস্ট্রির বহু নারীর সঙ্গে। সে জন্যেই সালমানের প্রেমিকাদের তালিকাও বেশ লম্বা। এই তালিকায় রয়েছেন বলিউডের সংগীতা বিজলানি, শাহিন জাফরি, ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন, সোমি আলী, ক্যাটরিনা কাইফ, ইউলিয়া ভান্তুরসহ আরও অনেকেই। সালমানের এই প্রেমের ক্যারিয়ারে একদিন গুঞ্জন ছড়ায়, সালমান খানের সঙ্গে নাকি বিয়ে সেরেছিলেন ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন!
এক সময় সালমান ও ঐশ্বরিয়ার সম্পর্ক ছিল বলিউডের আলোচনার কেন্দ্রে। ১৯৯৯ সালে ‘হাম দিল দে চুকে সানাম’ ছবির শুটিং থেকে প্রেম শুরু হয়েছিল তাদের। এর পরেই খবর রটে যায়, তারকা যুগল নাকি গোপনে বিয়ে সেরেছেন। এমনকি, ঐশ্বরিয়ার ধর্মান্তরের কথাও রটে যায় বি-টাউনে।
গুঞ্জন ছড়ায়, লোনাভালার এক বিলাসবহুল বাংলোতে বসে সালমান ও ঐশ্বরিয়ার বিয়ের আসর। উপস্থিত ছিলেন ঘনিষ্ঠ পরিজন ও বন্ধুবান্ধব। তবে এই সম্পর্কে মোটেই সম্মতি ছিল না প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরীর বাবা-মায়ের। তাই তারা নাকি এই বিয়েতে অনুপস্থিত ছিলেন। বিয়েতেই শেষ নয়। সালমান ও ঐশ্বরিয়া নিউ ইয়র্কে হানিমুন করতে গিয়েছিলেন বলেও খবর রটে যায়। তবে এই ঘটনাগুলির সত্যতা কখনওই প্রকাশ্যে আসেনি। গুঞ্জন হিসেবেই থেকে গেছে।
এক সাক্ষাৎকারে এই বিষয়ে ঐশ্বরিয়াকে প্রশ্ন করা হলে তিনি সবটাই মিথ্যে বলে দাবি করেন। তিনি বিয়ে করলে পুরো ইন্ডাস্ট্রি জানতে পারবে। দাবি করেছিলেন অভিনেত্রী। ঐশ্বরিয়া বলেছিলেন, ‘বিয়েটা হলে পুরো ইন্ডাস্ট্রির কাছে কি খবর থাকত না? খুব ছোট আমাদের এই ইন্ডাস্ট্রি। আমি এমন মানুষই নই, যে বিয়ের মতো বড় ব্যাপারকে অস্বীকার করব। বিয়ে হলে, গোটা দুনিয়াকে গর্বের সঙ্গে আমার বরের সঙ্গে পরিচয় করাতাম। তা ছাড়া বিয়ে করার সময় কোথায়? এই গুজবগুলি সত্যিই হাস্যকর।’
২০০২ সালে সম্পর্কে ইতি টেনেছিলেন সালমান ও ঐশ্বরিয়া। তবে সেই বিচ্ছেদ নিয়েও চর্চা হয়েছিল অনেক। বিচ্ছেদের পরে বন্ধ হয় দু’জনের শুভদৃষ্টি। এরপর আর কোনোদিন একে অপরের ত্রিসীমানায় পা রাখেননি এই দুই তারকা।