নিজস্ব প্রতিবেদক,২০ মার্চ ২০২৩: জগন্নাথ ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের ২২টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন। গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহকে দ্রুত ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ ও ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ক্লাস শুরুর নির্দেশনা দিয়েছে ইউজিসি।
এছাড়া, ভর্তি পরীক্ষা প্রক্রিয়া সহজ ও শিক্ষার্থীবান্ধব করা এবং এবারের গুচ্ছ ভর্তি যেন অনন্য হয় সে বিষয়ে আয়োজকদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি অভিন্ন ভর্তি পরীক্ষা আয়োজন করা হবে বলে জানানো হয়। গুচ্ছ পদ্ধতিতে ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষা ক্রটিমুক্ত ও নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করার বিষয়ে আজ সোমবার ইউজিসিতে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ইউজিসি চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল্লাহ- এর সভাপতিত্বে সভায় কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. দিল আফরোজা বেগম, প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর, প্রফেসর ড. বিশ্বজিৎ চন্দ ও প্রফেসর ড. মো. আবু তাহের, গুচ্ছভুক্ত ১৭টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যবৃন্দ, ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামান এবং পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট ডিভিশনের পরিচালক মোহাম্মদ জামিনুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
সভায় গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তির বিদ্যমান সংকট ও সম্ভাব্য সমাধান নিয়ে আলোচনা করা হয়। ভর্তিতে বিগত বছরের জটিলতাগুলো কিভাবে কাটিয়ে ওঠা যায় এবং ভর্তি কীভাবে আরও সহজ ও শিক্ষার্থীবান্ধব করে তোলা যায় সেটি নিয়ে আলোচনা করা হয়।
সভায় ইউজিসি চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল্লাহ বলেন, গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা আয়োজন করায় দেশবাসী আমাদেরকে উষ্ণ অভিবাদন জানিয়েছে। তাঁরা বলেছে এটি একটি ভালো পরীক্ষা পদ্ধতি। নতুন পদ্ধতিতে পরীক্ষা গ্রহণে কিছু সমস্যা তৈরি হয়েছে, তাই বলে এখান থেকে পিছু হঠার বা বের হয়ে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই। গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা ভালো ও সর্বজন স্বীকৃত পদ্ধতি হয় সেজন্য উপাচার্য ও ভর্তি সংশ্লিষ্টদের তিনি আন্তরিক হওয়ার আহ্বান জানান। ইউজিসি চেয়ারম্যান গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা বিষয়ে সরকারের অভিপ্রায় বাস্তবায়নে সব কর্তৃপক্ষকে সংবেদনশীল হওয়ার পরামর্শ দেন।
ইউজিসি সদস্য ও গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক মুহাম্মদ আলমগীর বলেন, গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় ৮০ ভাগ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় অংশগ্রহণ করছে। আগামী বছর থেকে সব বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি ইউনিক পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষার আয়োজন করা হবে বলে সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তিনি গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি সংশ্লিষ্টদের অল্প সময়ে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ ও ক্লাস শুরু করার আহ্বান জানান। এছাড়া, ভর্তি প্রক্রিয়া সহজ করে দেসবাসীকে চমৎকার একটি ভর্তি পরীক্ষা উপহার দেওয়ার আহ্বান জানান।