গুচ্ছভুক্ত ২২টি সাধারণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক শ্রেণিতে ভর্তি শিক্ষার্থীদের আর বিশ্ববিদ্যালয় পরিবর্তনের সুযোগ দেওয়া হবে না। সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাতে গুচ্ছ ভর্তি কমিটির সভায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্যরা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এ ছাড়া শূন্য আসনে ভর্তির বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা আয়োজক কমিটির আহবায়ক এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ এ তথ্য জানিয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার তিনি বলেন, ইন্টার ইউনিভার্সিটি ট্রান্সফার আর হবে না। খালি সিটগুলো কীভাবে পূরণ হবে, সে বিষয়ে টেকনিক্যাল কমিটি আগামীকাল কমপ্লিট প্রস্তাবনা দেবে।
অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন বলেন, চারটি মেরিট দেওয়া হয়েছে, মাইগ্রেশনের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ছেলেরা ভর্তি না হলে কিছু করার নেই।
জানা গেছে, গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এখনো ২১০০-২২০০ আসন ফাঁকা রয়েছে। এত বিপুল সংখ্যক আসন ফাঁকা রেখে ক্লাস কার্যক্রম শুরু করতে চায় না আয়োজক কমিটি। অন্যদিকে আসন ফাঁকা রেখে ভর্তি কার্যক্রম গুটিয়ে নিলে অনেকের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার স্বপ্ন শেষ হয়ে যাবে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কাঙ্খিত শিক্ষার্থী পাবে না।
গত ২২ আগস্ট গুচ্ছের শেষ ধাপের ভর্তি নেওয়া হয়। ভর্তি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী এবার চার ধাপে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। তবে অধিক সংখ্যক আসন ফাঁকা থাকায় ফের ভর্তির সুযোগ দিতে যাচ্ছে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা আয়োজক কমিটি।
এর আগে ২০ জুন গুচ্ছভুক্ত ২২ বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে ভর্তির আবেদন শুরু হয়। পরে পর্যায়ক্রমে তিনটি ইউনিটে পরীক্ষা গ্রহণ ও ফল প্রকাশ করা হয়। এ বছর ‘এ’ ইউনিটে (বিজ্ঞান) পাসের হার ৪৩ দশমিক ৩৫ শতাংশ, ‘বি’ ইউনিটে (মানবিক) পাসের হার ৫৬ দশমিক ৩২ শতাংশ, ‘সি’ ইউনিটে (ব্যবসায় অনুষদ) পাসের হার ৬৩ দশমিক ৪৬ শতাংশ।