জানা গেছে, ১০ সদস্য বিশিষ্ট আন্তঃমন্ত্রণালয় মূল্যায়ন কমিটি তাদের প্রতিবেদনে অবকাঠামো উন্নয়নে অনিয়মের চিত্র তুলে ধরে সার্বিক পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি অনিয়ম ঠেকাতে আটটি সুপারিশ করে গত ১০ মে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।
এদিকে মূল্যায়ন কমিটির সরেজমিন তদন্তে অনিয়মের চিত্র ফুটে উঠায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর(ভিসি) অধ্যাপক ফায়েকুজ্জামান। তিনি কমিটির বিরুদ্ধে পাল্টা ১০ লাখ টাকা ঘুষের অভিযোগ এনেছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে।
এই অবস্থায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি তদন্ত করতে একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। ওই কমিটি মূল্যায়ন কমিটির সদস্যদের বক্তব্য নিলেও নিজের মত করে প্রতিবেদন তৈরি করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ওই তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় মূণ্যায়ন কমিটির তিন সদস্যকে প্রত্যাহার করেছে। এই তিন কর্মকর্তাই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে কর্মরত ছিলেন। তবে বাকিদের বিরুদ্ধে রহস্যজনকভাবে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এ কারণে মূল্যায়ন কমিটির সদস্যদের বিরুদ্ধে ভিসির কথিত ঘুষের অভিযোগ সম্পর্কে প্রশ্ন উঠেছে।
মূল্যায়ন কমিটির প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো উন্নয়ন (১ম সংশোধিত) শীর্ষক প্রকল্পের ডিপিপি অনুযায়ি মধ্যমেয়াদী মূল্যায়নের জন্য গঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটির সদস্যরা গত ২৯ এপ্রিল সরেজমিন তদন্তে যান। এর আগে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পরামর্শ অনুযায়ি ২৫ এপ্রিল এ সংক্রান্ত নোটিস দিয়ে অবহিত করা হয়। কমিটি তাদের কর্মপদ্ধতি অনুসরণ করে প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতি, কাজের গুণগতমান পর্যবেক্ষণ, হালনাগাদ তথ্য সংগ্রহ, সরকারি ক্রয় নীতিমালা অনুরসরণ হচ্ছে কি না- এসব বিষয় তদন্ত করে। আর তখনই কমিটির চোখে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতি ধরা পড়ে।