চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহের খাড়াগোদা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে ইটের প্রাচীর দিয়ে ঘেরাও করে দিয়েছে মৃত সাইদুর রহমান মঙ্গল মাস্টারের পুত্র তিতুদহ ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা আহাম্মদ হুসাইন রোকন।
বিদ্যালয়ে প্রবেশের একমাত্র পথটি বন্ধ করে দেওয়ায় বিদ্যালয়ের ভিতরে ঢুকতে পারছে না শত শত শিক্ষার্থী। তোলপাড় চলছে এলাকাজুড়ে।
জানা গেছে, মৃত সাইদুর রহমান মঙ্গল মাস্টারের পুত্র তিতুদহ ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা আহাম্মদ হুসাইন রোকন ও তার গ্রামের কিছু মানুষ মিলে খাড়াগোদা মাধ্যমিক ও প্রাইমারী বিদ্যালয়ের প্রবেশের একমাত্র ফটকটি ইটের প্রাচীর দিয়ে ঘেরাও করে দিয়েছে। রোকন ও তার গ্রামের মানুষের অভিযোগ খাড়াগোদা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও প্রাইমারী স্কুলের মাঝামাঝি ফিল্ডে খাড়াগোদা মাধ্যমিক কর্তৃক জোরপূর্বক প্রাচীর দেওয়ার কারনে আমি স্কুল গেইটের সামনে প্রাচীর দিয়েছি। যেটা পুরোটা আমার জায়গা।
আমার জায়গায় আমি প্রাচীর দিয়েছি। প্রাইমারি ও মাধ্যমিক দুই বিদ্যালয়ের একটি মাত্র মাঠ। কিন্তু সেটা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা প্রাচীর দিয়ে আটকিয়ে দিচ্ছে। এতে প্রাইমারী স্কুলে প্রবেশ করতে সমস্যা হচ্ছে। তাছাড়া ঈদের নামাজ, জানাযা’র নামাজ খেলাধুলা এই মাঠেই হয় কিন্তু প্রাচীর দিয়ে তা নষ্ট করে ফেলছে। তাই প্রধান ফটকের সামনে আমার জায়গায় আমি প্রাচীর দিয়েছি। দুই বিদ্যালয়ের মাঝের প্রাচীর উঠিয়ে দিলে আমি আমার প্রাচীর উঠিয়ে দিবো।
এদিকে শিক্ষকসহ স্কুল পরিচালনা কমিটির বক্তব্য স্কুল সীমানা প্রাচীর দিয়ে না আটকিয়ে দিলে বাইরে থেকে মানুষ স্কুলের ভিতরে প্রবেশ করে। তাছাড়া স্কুল চলাকালীন সময় স্কুলমাঠে বাইরে থেকে গরু, ছাগল বাঁধা হয় যার কারনে স্কুলের পরিবেশ নষ্ট হয়। আর বাইরে থেকে আসা ছেলেরা স্কুলের মেয়েদের ডিস্টার্ব করে। অনেক সময় সম্মানে আঘাত করা বড় ধরনের দূর্ঘটনাও ঘটে যায়। তাই স্কুলের মান উন্নয়নে আমরা প্রাচীর দিয়ে স্কুলের সীমানা আটকিয়ে রাখতে চেয়েছি। এতে স্কুলের পরিবেশ ভালো থাকবে। স্কুলের প্রধান ফটকের সামনে এভাবে অবৈধ প্রাচীর দেওয়ায় শিক্ষকসহ শতশত শিক্ষার্থীকে বাইরে দাড়ায়ে থাকতে হচ্ছে। শিক্ষকসহ শিক্ষার্থীদের সম্ভব হচ্ছে না ভিতরে প্রবেশের। ংংপ পরীক্ষার্থীদের সামনে পরীক্ষা থাকা সত্বেও সম্ভব হচ্ছে না তাদের অতিরিক্ত ক্লাস করানো। গতকাল বিকাল ৫টার দিকে রোকন ও তার কিছু সাঙ্গপাঙ্গ মিলে এ প্রাচীর স্থাপন করে। এভাবে চলতে থাকলে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হবে ংংপ পরীক্ষার্থীরা। দ্রুত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সু-নজর কামনা করছেন এলাকাবাসী।