দেশের ৮টি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য প্রায় ৭৫ হাজার ভর্তিচ্ছু আবেদন করেছেন। আগামী ১০ জুলাই আবেদনের সময়সীমা শেষ হবে।
বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. বদরুল ইসলাম শোয়েব।
তিনি জানান, কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত ৭৪ হাজার ৮৪০ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেছেন। আবেদনের সংখ্যা আরও বাড়বে। কেননা এখনও চারদিন সময় বাকি আছে।
আরো পড়ুন: ৪১তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল এ মাসেই
২০১৮, ২০১৯ ও ২০২০ সালে এসএসসি/সমমান এবং ২০২১ ও ২০২২ সালে এইচএসসি/সমমানের পরীক্ষায় যাঁরা বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জীববিজ্ঞান, রসায়ন, পদার্থবিজ্ঞান, গণিত বিষয়সহ উত্তীর্ণ হয়েছেন, কেবল তাঁরাই কৃষি গুচ্ছের ভর্তিতে আবেদন করতে পারবেন। ২০২১ সালে এসএসসি/সমমান মানোন্নয়ন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীরাও আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনকারীর এসএসসি/সমমান এবং এইচএসসি/সমমানের পরীক্ষায় উভয় ক্ষেত্রে প্রতিটিতে চতুর্থ বিষয় ব্যতীত ন্যূনতম জিপিএ ৪ এবং সর্বমোট ন্যূনতম জিপিএ ৮.৫০ থাকতে হবে। জিসিই ও এবং এ লেভেল পাস করা প্রার্থীর ক্ষেত্রে ও লেভেল পরীক্ষায় অন্তত ৫টি বিষয়ে এবং এ লেভেল পরীক্ষায় বিজ্ঞানের অন্তত ২টি বিষয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে। উভয় পরীক্ষার প্রতিটিতে ন্যূনতম জিপিএ ৪ এবং সর্বমোট ন্যূনতম জিপিএ ৮.৫০ থাকতে হবে। এ ক্ষেত্রে এ ও বি গ্রেডের জন্য যথাক্রমে ৫ ও ৪ জিপিএ গণনা করা হবে।
কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে কত আসন
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১ হাজার ১১৬ আসন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৭৫ আসন, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬৯৮ আসন, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪৪৩ আসন, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৪৫ আসন, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪৩১ আসন, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৫০ আসন এবং হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৯০ আসন।
ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্র
ভর্তি পরীক্ষায় মোট আটটি কেন্দ্র থাকবে। ১. বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ, ২. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর, ৩. শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা; ৪. পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী; ৫. চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম; ৬. সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট; ৭. খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা; এবং ৮ হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, হবিগঞ্জে একযোগে অনুষ্ঠিত হবে।
পরীক্ষাকেন্দ্রগুলোর তালিকা অনুযায়ী আবেদনকারী শিক্ষার্থী কোন কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে চান, তা ১ থেকে ৮ পর্যন্ত পরীক্ষাকেন্দ্রের পছন্দক্রম উল্লেখ করতে হবে। আসন শূন্য থাকা সাপেক্ষে আবেদনকারীর পছন্দক্রম এবং আবেদন ফি প্রদানের তারিখ ও সময়ের অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে পরীক্ষাকেন্দ্র নির্ধারণ করা হবে।
কৃষি গুচ্ছের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো– বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ; বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর; শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা; পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী; চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম; সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট; খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা এবং হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, হবিগঞ্জ।