ঝিনাইদহ প্রতিনিধি : ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে চিত্রা নদীর উপর প্রায় ৯০ ফুট লম্বার একটি বাশের সাকোঁ ভেঙ্গে যাওয়ায় ১৬ গ্রামের কয়েকশ ছাত্রছাত্রীর স্কুল,কলেজে যাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে। দুর্ভোগে পড়েছে সাধারণ ব্যবসায়ী ও জনগন।
উপজেলার রায়গ্রাম ইউনিয়ন ও মালিয়াট ইউনিয়নের মাঝামাঝি (ইছাখালী-বেথুলী) গ্রামে এই সাঁকোটির অবস্থান। সাকোঁটি পানির স্রোতে ভেঙ্গে যাওয়ায় খুব প্রয়োজনে প্রায় ৫ কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে আসতে হচ্ছে জনগনকে। এ ঘটনায় ঐ স্থানে একটি ব্রীজ অথবা সেতু নির্মাণের দাবিতে বিক্ষোভ দেখিয়েছে ঐ এলাকার শিক্ষার্থীরা।
স্থানীয়রা জানান, জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার রায়গ্রাম ও মালিয়াট ইউনিয়নের মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া চিত্রা নদীর উপর (ইচেখালী-বেথুলী) যাতায়াদের জন্য একটি সাকোঁকে ব্যবহার করে এলাকার মানুষ।
এই সাকে দিয়ে ইছাখালী,একতারপুর, দেবরাজপুর,জটারপাড়া,ঘোপপাড়া,বনখিদ্দা, ভাটাডাঙ্গাসহ প্রায় ১৬টি গ্রামের শিক্ষার্থী, লোকজন লেখাপড়া কিংবা ব্যবসায়ীক ও প্রয়োজনীয় কাজে যাতায়াত করে। নদীর একপারে বেথুলি বাজার, আবুবকর বিশ্বাস মকছেদ আলী কলেজ, চাপরাইল হাইস্কুল, বিএসবি সম্মিলিথ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, এশিয়ার স্বাক্ষকবৃক্ষ মল্লিকপুরের বটগাছ। এই বাশের সাকো দিয়ে ইছাখালীসহ ঐ এলাকার মানুষ বেশি যাতায়াত করে। শুস্ক ও বর্ষা মৌসুমে নদী পারাপারের জন্য সাকোই তাদের একমাত্র ভরসা। প্রতিবছরই বর্ষার মৌসুম আসলে সাকোটি ভেঙ্গে যায় অথবা তলিয়ে যায়। এ সময় সকলের চলাচল বনধ হয়ে যায়। সেতুদিয়ে চলাচলই তাদের একমাত্র পথ।
ইছাখালী গ্রামের শৈলেন্দনাথ সাহা জানান, প্রতি বছর বর্ষারসময় তাদের বিপদে পড়তে হয়। ইছাখালী-বেথুীর মাঝামাঝি চিত্রা নদীতে একটি সেতু কিংবা ব্রীজ হলে আমাদের জন্য খুব ভালো হয়। কারণ বর্ষার সময় একটি নষ্ট হয়ে যায়। বাধ্য হয়ে আমাদের ৫ কিলোমিটার ঘুরে আসতে হয়।
সাকো দিয়ে যাতায়াতকারী বেশ কয়েজন শিক্ষার্থী জানান, বর্ষার সময় আসলেই সাকোটি পানিতে তলিয়ে কিংবা ভেঙ্গে যায়। এ সময় তাদের চলাচল বনধ হয়ে যায়। বাধ্য হয়ে অনেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার ঘুরে অথবা নৌকায় ঝুকি নিয়ে পার হতে হয়। এখানে তারা স্থায়ী একটি ব্রীজের দাবি জানান।
স্থানীয় বিএসবি সম্মিলিত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মন্নুর রহমান জানান, আমার বালিকা বিদ্যালয়ে বেশ কয়েকজন প্রতিবন্ধি ছাত্রী রয়েছে। যারা এই সাকো পার হয়ে ইছাখালী থেকেআসে। এছাড়াও অনেক শিক্ষার্থী,ব্যবসায়ী এই সাকো দিয়ে পারাপার করে। এটি ভেঙ্গে গেলে ও ডুবে গেলে তাদের জন্য সমস্যা হয়ে পড়ে। এখানে তিনি ব্রীজের দাবি তোলেন।
কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ছাদেকুর রহমান জানান, বিষয়টি শুনেছি। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলবেন ।