কলাপাড়ায় এইচ,এস,সির ফলাফল বিপর্যয়ে হতাশ শিক্ষক-শিক্ষার্থী সহ অভিভাবক

মোয়াজ্জেম হোসেন, পটুয়াখালী প্রতিনিধি।। কলেজ ছয়টি, পরীক্ষার্থী একহাজার ১৬৫ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে মাত্র চার জন। এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পর পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ফলাফল বিপর্যয়ে হতাশ অভিভাবক,শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। এ ফলাফল বিপর্যয়ের জন্য এক কলেজ শিক্ষকরা অন্য কলেজের শিক্ষকদের দোষারোপ করছেন, এমনি অভিযোগ করছেন শিক্ষকদের বিরুদ্ধে নৈবেত্ত্যিক উত্তরপত্র কর্তন ও খাতা টানাটানির।

কলাপাড়া মহিলা ডিগ্রি কলেজে ১৭১ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাশ করেছে ৯৬ জন। পাশের হার ৫৬ দশমিক ১৪। জিপিএ-৫ পেয়েছে একজন। মোজাহার উদ্দিন বিশ্বাস(অনার্স) কলেজে ২৫৭ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাশ করেছে ১৩৮ জন। পাশের হার ৫৩ দশমিক ৭০। খানবাদ কলেজে ২৯৫ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ১৫১ জন পাশ করেছে। পাশের হার ৫১ দশমিক ১৭। জিপিএ-৫ পেয়েছে তিন শিক্ষার্থী। আলহাজ্ব জালাল উদ্দিন কলেজে ১৯৫ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাশ করেছে ৯৯ জন। পাশের হার ৫০ দশমিক ৭৭। ধানখালী ডিগ্রি কলেজে ৯৬ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাশ করেছে ৪৮ জন। পাশের হার ৫০ ভাগ।
অপরদিকে মুক্তিযোদ্ধা মেমোরিয়াল কলেজ থেকে ১৫১ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ হয় মাত্র ৫৭ জন। পাশের হার ৩৭ দশমিক ৭৫ভাগ। এ ফলাফল বিপর্যয়ে হতাশ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। উপজেলায় সবচেয়ে পাশের হার কম এ কলেজে। কলেজ অধ্যক্ষ মো. কলিম উল্লাহ অভিযোগ করেন, কলেজের টেস্ট পরীক্ষায় শিক্ষার্থীরা ভালো ফলাফল করলেও মাত্র ৩৭ শতাংশ পাশ করায় তারা হতাশ ও চিন্তিত। এ বিপর্যয়ের কারন হিসেবে তিনি বলেন, খানাবাদ কলেজ কেন্দ্রে তাদের কলেজের ছাত্রদের নৈবত্ত্যিক উত্তর পত্র কর্তন হতে পারে। পরীক্ষার হলে দায়িত্বরত শিক্ষকরা এ কাজ করছে বলে ধারণা করছেন।
খানাবাদ কলেজ এর অধ্যক্ষ সি এম সাইফুর রহমান খান এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, যেখানে সিসি ক্যামেরার আওতায় পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে, সেখানে কী করে শিক্ষকরা উত্তরপত্র কর্তন করে। উল্টো অভিযোগ করে তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধা মেমোরিয়াল কলেজ পরীক্ষা কেন্দ্রে তাদের কলেজের পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র টানাটানি, পদার্থ বিজ্ঞান পরীক্ষায় ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে দেয়নি শিক্ষার্থীদের। এ কারনে বিজ্ঞান বিভাগের ৫৬ পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে মাত্র ২২ জন।

Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।