নিজস্ব প্রতিবেদক,১৩ অক্টোবর:
বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক ঐক্য পরিষদের ডাকে সারা দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতেও সহকারি শিক্ষকগণের ১১ তম গ্রেড ও প্রধান শিক্ষকদের ১০ গ্রেডে বেতন ভাতাদি ঘোষণার দাবীতে ১৪ অক্টোবর থেকে ১৭ অক্টোবর -২০১৯ তারিখ পর্যন্ত ঘোষিত কর্মবিরতির অংশ হিসেবে অদ্য ১৪ অক্টোবর সকাল ১০.০০ -১২.০০ ঘটিকা পর্যন্ত ২ ঘন্টা স্বতঃফূর্ত ভাবে বিদ্যালয়গুলোতে কর্মবিরতি পালন করেছেন।
প্রধান শিক্ষকদের জাতীয় বেতন স্কেলের দশম গ্রেডে ও সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেডে বেতন দেওয়ার দাবিতে আজ সারাদেশের প্রায় ৬৬ হাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করে।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষকদের মোট ১৪টি সংগঠনের সম্মিলিত মোর্চা ‘বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক ঐক্য পরিষদ’ গত ৬ অক্টোবর এ কর্মসূচি ঘোষণা করে। পরিষদের সদস্য সচিব মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাসুদ বলেন, ‘আমাদের (প্রাথমিক শিক্ষকদের) পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। বাধ্য হয়ে আন্দোলনে যেতে হচ্ছে।’
কিস্তু কোন এক অদৃশ্য কারণে দীর্ঘ সময় পার হলেও বেতন বৈসম্য দূরীকরণ তো হয়ই নি বরং অর্থ মন্ত্রণালয় মতামত ব্যক্ত করেছেন বেতন বৃদ্ধির সুযোগ নেই বলে। তারা আরো বলেন আমরা প্রাথমিক শিক্ষকরা নিরুপায় হয়ে আন্দোলনের কর্মসূচীতে রয়েছি, আগামি মাসেই ৫ম শ্রেণির শিশুদের সমাপনী পরীক্ষা এবং পরবর্তীতে অন্যান্য শ্রেণির শিশুদের বার্ষিক পরীক্ষা সে বিষয়েও সজাগ রয়েছি। আমাদের দাবীর যৌক্তিকতা অনুধাবন করে বিভিন্ন সময়ে দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষ সহমত প্রকাশ করলেও আশার প্রতিফলন ঘটেনি।