নিজস্ব প্রতিবেদক,১৫ সেপ্টেম্বর ২২:করোনাকালের শিখন ঘাটতি কমিয়ে এনে পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের ক্লাসের মূলধারায় সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিতে তৈরি করা হয়েছে ‘ফ্লেক্সিবল লার্নিং প্যাকেজ’। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) সহায়তায় এই প্রশিক্ষণ রিসোর্স মডিউল তৈরি করেছে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ। বাস্তবায়নকারী পার্টনার সুরভি।
গতকাল বুধবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে প্যাকেজটি উদ্বোধন করেন মাউশি মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ। তিনি বলেন, করোনা আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় এক নতুন চ্যালেঞ্জ নিয়ে এসেছে। দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের বিশেষ করে ঢাকার নিম্ন আয়ের এলাকায় দেখা দেয় শিখন ঘাটতি। স্কুল খোলার পরও নতুন শ্রেণিতে শিশুরা পুরোপুরি সক্রিয় হতে পারছে না।
তিনি আরও বলেন, সরকার এই শিখন ঘাটতি পূরণে কাজ করছে। ফ্লেক্সিবল লার্নিং প্যাকেজের পরিধি আরও বাড়ানো দরকার। সঙ্গে জেন্ডার ইকুইটি মুভমেন্ট ইন স্কুলস (জেমস) কার্যক্রম ছড়িয়ে দেওয়া প্রয়োজন, যাতে সমাজে জেন্ডার সমতা ও অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা নিশ্চিত হয়।
প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের ‘চাইল্ড ব্রাইড টু বুকওয়ার্ম’ প্রকল্পের আওতায় এই মডিউলটি ঢাকার ২২টি মাধ্যমিক স্কুলে ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের শিখন ঘাটতি পূরণে ব্যবহার করা হবে। প্যাকেজে বাংলা, ইংরেজি ও গণিত বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে জাতীয় শিক্ষাক্রম পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি), সরকারি শিক্ষক প্রশিক্ষক কলেজের প্রতিনিধি, মাউশির কর্মকর্তা, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক, এনজিও প্রতিনিধিসহ সংশ্নিষ্ট অংশীজন উপস্থিত ছিলেন।