ডেস্কঃ
করোনা মোকাবেলায় ১দিনের বেতন কর্তনের পোষ্টে উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে নিয়ে বিরুপ মন্তব্য করেছেন একাধিক শিক্ষক। চুয়াডাঙ্গা জেলার Sarup das নামের এক শিক্ষক করোনা মোকাবেলা ও আমাদের করনীয় শিরোনামে শিক্ষকসহ সকল সরকারী কর্মচারী ও কর্মকর্তা, সংসদসদস্য সহএকাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে আর্থিক সহযোগীতা নিয়ে একটি ফান্ড গঠনের প্রস্তাব দেন। তার পোষ্টে উর্ধত্বন কর্তৃপক্ষকে নিয়ে অশালিন মন্তব্য করেনএকাধিক শিক্ষক। বিষয়টি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের দৃষ্টি গোচর হলে বিষয়টি তারা আমলে নেন।
talma gps নামে একজন লিখেছেন বন্টনকারীদের লুটার সুযোগ করে দেয়া।
Muslim ali sarker লিখেছেন কেন দেব? সরকার কি সাহায্য চেয়েছে? তেলবাজি বন্ধ করেন।
সরকার চাইলে দেখা যাবে।
মিজানুর রহমান লিখেছেন আমার বেতনের টাকায় অন্য জন ফুর্তি করবে তা হবেনা। প্রয়োজন হলে আমি নিজে আমার প্রতিবেশিকে সাহায্যে করব।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উপপরিচালক বদরুল আলম বলেন বিষয়টি অত্যন্ত দৃষ্টিকটু। যদি আমাদের শিক্ষক হয়ে থাকে তদন্ত করে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
পাঠকের সুবিধার জন্য পোষ্টটি তুলে ধরা হল।
করোনা মোকাবেলায় আমাদের করনীয়
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,
সারা দেশে আমরা ২১ লাখ সরকারী কর্মচারী। জাতীর এ ক্লান্তিলগ্নে আমাদের ১ দিনের বেতন রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা করতে পারলে আমাদের প্রায় ২০০ কোটি টাকা জমা হবে। যা দিয়ে পথশিশু এবং যারা দিন আনে দিন খায় তাদের খাবারের ব্যবস্থা করা যাবে। পথ শিশুদের জন্য এখন বিদ্যালয়গুলো খুলে দিতে হবে। ওদেরকে বাহিরে রাখা ঠিক না। প্রতিটি সংসদসদস্য ব্যক্তিগত তহবিল থেকে একটা অর্থ সংগ্রহ করা যেতে পারে। স্কয়ার, বেক্সিমকো সহ বড় বড় প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করতে হবে।
সব অর্থ ব্যয় হবে গরীব দুস্থদের মাঝে। যারা দিন আনে দিন খায়। তারপরেও আমাদের কমপক্ষে ১৪ দিন সারা দেশ লক ডাউন করতে হবে। এ কাজের নেতৃত্ব আমাদের সেনাবাহিনীর হাতে ন্যস্ত করলে আমরা ক্লান্তিলগ্ন থেকে মুক্ত হতে পারব।
আমাদের অনুরোধ আপনি দ্রুত ব্যবস্থা নিন।
লক ডাউন মানে লক ডাউন। ঘর থেকে বের হলে শাস্তি।
কারন আমরা কেও কোন নিয়ম মানছি না।
স্বরুপ দাস
প্রধান শিক্ষক
আজমপুর সপ্রাবি,দর্শনা
সিনিয়ার যুগ্ন সাধারন সম্পাদক কেন্দ্রিয় কমিটি
প্রধান শিক্ষক সমিতি।