নিজস্ব প্রতিবেদক |
করমুক্ত আয়ের সীমা আড়াই লাখ টাকা বাড়িয়ে তিন লাখ টাকা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে করমুক্ত এই আয়ের সীমা বাড়ানোর প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী।
‘অর্থনৈতিক উত্তরণ ও ভবিষ্যৎ পথপরিক্রমা’ শিরোনামে ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য এই বাজেট পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এটি ক্ষমতাসীন সরকারের চলতি মেয়াদের দ্বিতীয় এবং দেশের ৪৯তম বাজেট।
অর্থমন্ত্রী হিসেবে দ্বিতীয়বারের মতো আ হ ম মুস্তফা কামালের দেয়া এই বাজেটে কিছু পণ্যের শুল্ক ও করহার বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। ফলে বাড়তে পারে এসব পণ্যের দাম।
করমুক্ত আয়ের সীমা বাড়ানোর বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ২০১৫-১৬ অর্থবছর হতে করমুক্ত আয়সীমা, করহার এবং কর ধাপ অপরিবর্তিত আছে। মুদ্রাস্ফীতির কারণে করদাতাদের প্রকৃত আয় হ্রাস পাওয়ায় এবং অন্যদিকে করমুক্ত আয়সীমা অপরিবর্তিত থাকায় প্রকৃতপক্ষে করদাতরা কর প্রদানে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন না।
‘এ বছর বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে করদাতারা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে এবং মুজিববর্ষের উপার হিসেবে আমি কোম্পানি ও স্থায়ী কর্তৃপক্ষ ব্যতীত অন্যান্য শ্রেণির করদাতা বিশেষ করে ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের করমুক্ত আয়সীমা কিছুটা বৃদ্ধি এবং করহার হ্রাসের প্রস্তাব করছি।’
প্রস্তাবিত বাজেটে ব্যক্তিশ্রেণির কারদাতাদের জন্য তিন লাখ টাকা পর্যন্ত আয়ের ওপর করহার শূন্য রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। পরবর্তী এক লাখ টাকা পর্যন্ত ৫ শতাংশ, তার পরবর্তী তিন লাখ টাকা পর্যন্ত ১০ শতাংশ, তার পরবর্তী চার লাখ টাকা পর্যন্ত ১৫ শতাংশ, তার পরবর্তী পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত ২০ শতাংশ এবং তার বেশি টাকা আয়ের ওপর ২৫ শতাংশ আয়কর আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে।