কওমি-নুরানি মাদরাসার কারণে স্কুলে শিক্ষার্থী কমছে : শিক্ষামন্ত্রী

যত্রতত্র প্রতিষ্ঠা পাওয়া কওমি-নুরানি মাদরাসার কারণে নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানগুলোতে আশঙ্কাজনক হারে শিক্ষার্থী কমছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান নওফেল।

তিনি বলেছেন, নূরানী মাদরাসাগুলো যত্রতত্র প্রতিষ্ঠা হওয়ার কারণে সরকারের প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার্থী আশঙ্কাজনক হারে কমে যাচ্ছে। এটা কিন্তু আমাদের সবার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ, সেটি আমাদের নিরসন করতে হবে।

রোববার (৩ মার্চ) সন্ধ্যায় রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনে বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কখন শিক্ষার্থীরা স্কুলগুলোতে ভর্তি হয়, সেই সময়টাতে এসব (অনিবন্ধিত মাদরাসা) প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা যায় কি-না, সেগুলো নিয়ে আমরা ভবিষ্যতে আলোচনা করব। তবে অনিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীর হার বাড়বে, আর নিবন্ধিত ও সরকারের শিক্ষাক্রম অনুসরণ করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী কমবে, এটা কখনোই কাঙ্ক্ষিত নয়। আর এই বিষয়টি আমাদের সব সময় মাথায় রাখতে হবে।

আরো পড়ুন: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা শুরু কাল, আসনপ্রতি ৪৭ ভর্তিচ্ছু

তিনি বলেন, অনিবন্ধিত মাদরাসাগুলো বিষয়ে ডিসিদের পক্ষ থেকে আলোচনা উঠে এসেছে। বিশেষ করে তারা বলেছেন, সারাদেশে যত্রতত্র নূরানী মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। আমরা জেলা প্রশাসকদের আশ্বস্ত করেছি যে, মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের নিবন্ধিত হওয়ার যে প্রক্রিয়া আছে, এর বাইরে যারা মাদরাসা খুলছেন, সেগুলো কিন্তু আমাদের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদিত নয়।

নওফেল আরও বলেন, আমাদেরকে কওমি ও নুরানি মাদরাসা বোর্ডের মোর্চা বেফাকের সঙ্গে বসতে হবে। বিশেষ করে তারা যেন একটা বয়সসীমা পর্যন্ত জাতীয় কারিকুলাম অনুযায়ী শিক্ষাক্রম যেন অনুসরণ করা হয়, নয়ত আমাদের শিক্ষার্থীরা কাঙ্ক্ষিত যোগ্যতা এবং দক্ষতা সেটি কিন্তু তারা পাবে না।

এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, নিবন্ধনের বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় মাঠ প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী একটি সার্ভে করেছে। অনিবন্ধিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান একেক জায়গায় একেক পরিসংখ্যান। এই সার্ভে রিপোর্টটি নিয়ে আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে একসাথে কাজ করব।

Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।