এ মাসেই জামা-উপবৃত্তির ৮৬৪ কোটি টাকা পাচ্ছে ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক,০২ জুন ২০২২:

প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে প্রতি বছর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জামা ও জুতা কেনার টাকা দেওয়া হয়। কিন্তু প্রকল্পের চুক্তির মেয়াদ না বাড়ানোয় ২০২০-২১ অর্থ বছরের জামা-জুতা ও উপবৃত্তির ৮৬৪ কোটি ২০ লাখ ৩ হাজার ৫০০ টাকা দেওয়া সম্ভব হয়নি। শেষ পর্যন্ত প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের জামা-জুতা ও উপবৃত্তির বকেয়া টাকা দেওয়া শুরু হচ্ছে। চলতি মাসেই এ টাকা দেওয়া শুরু হবে বলে জানা গেছে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানায়, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে। প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের কিটস অ্যালাউন্সের ৮৬৪ কোটি টাকা ছাড়ের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এখন ডাটাবেজের কাজ চলছে। সার্ভার স্লো হয়ে যাওয়ার কারণে কিছুটা দেরি হয়েছে। এখন ক্যাপাসিটি বাড়ানো হয়েছে। কাজ প্রায় শেষের দিকে। এ মাসের মধ্যেই টাকা দেওয়া শুরু হবে এবং সেটা খুব দ্রুতই শুরু হবে।

এর আগে, ৩১ মে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম বলেন, প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের জামা, জুতা ও ব্যাগ কেনার (কিটস অ্যালাউন্স) টাকা ও উপবৃত্তির ৮৬৪ কোটি ২০ লাখ ৩ হাজার ৫০০ টাকা বিতরণ করা হয়নি। বকেয়া সেই টাকা চলতি সপ্তাহে দেওয়া শুরু করা হবে।

জানা গেছে, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে এ টাকা সুবিধাভোগী শিক্ষার্থীদের অভিভাবকের মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টে পাঠানোর প্রস্তুতি নিতে অধিদপ্তর থেকে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা ও প্রধান শিক্ষকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গত বছর যে মোবাইল অ্যাকাউন্ট নম্বর উপবৃত্তির টাকা পেতে এন্ট্রি করা হয়েছিল সেই নম্বরটি সচল রাখতে অভিভাবকদের বলা হয়েছে। একইসঙ্গে সেই মোবাইল সেটটি নিজে সংরক্ষণ করে ব্যবহার এবং ওই মোবাইলে পাঠানো ওটিপি, পিন নম্বর বা এসএমএস অন্যদের সঙ্গে শেয়ার না করতে অভিভাবকদের অনুরোধ জানানো হয়েছে। বিষয়টি জানিয়ে গত ৩০ মে মাঠ পর্যায়ের শিক্ষা কর্মকর্তাদের চিঠি পাঠানো হয়েছে।

চিঠিতে অধিদপ্তর বলছে, ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রাথমিক শিক্ষার জন্য উপবৃত্তি প্রদান প্রকল্পের তৃতীয় পর্যায়ের উপবৃত্তি ও কিটস অ্যালাউন্স বাবদ অবিতরণকৃত ৮৬৪ কোটি ২০ লাখ টাকা বিতরণের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা রয়েছে। এ লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট প্রধান শিক্ষক, সহকারী উপজেলা বা থানা শিক্ষা অফিসার, উপজেলা বা থানা শিক্ষা অফিসার, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ এবং নির্ধারিত দায়িত্ব পালনের জন্য অনুরোধ করা হলো।

অধিদপ্তর আরও বলছে, সব উপজেলা বা থানা শিক্ষা অফিসার, সহকারী উপজেলা বা থানা শিক্ষা অফিসার নিজ নিজ নিয়ন্ত্রণাধীন বিদ্যালয়গুলোতে যেন উপবৃত্তি বিতরণ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়, সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ নেবেন। সব সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বিষয়টি সার্বক্ষণিকভাবে মনিটরিং করবেন। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এবং বিভাগীয় উপপরিচালকরা মাঠ পর্যায়ে উপবৃত্তির কার্যক্রম সার্বিক তত্ত্বাবধান করবেন।

প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি বিতরণ প্রকল্পটি ২০২১ সালের জুন মাসে বন্ধ হয়ে যায়। তখন উপবৃত্তি বিতরণের দায়িত্বে ছিল মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস নগদ। প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে প্রকল্পের চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় ২০২০-২১ অর্থবছরের উপবৃত্তি ও কিট অ্যালাউন্সের টাকা বিতরণ করা হয়নি। ২০২১ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত চুক্তির মেয়াদ ছিল। পুরো টাকা অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে ছাড় করা হলেও তা বাংলাদেশ ব্যাংকে পড়ে ছিল।

Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।