এসএসসি পরীক্ষার সামষ্টিক মূল্যায়নে লিখিত অংশের ওয়েটেজ করা হচ্ছে ৬৫ শতাংশ। বাকি ৩৫ শতাংশ হবে শ্রেণি কার্যক্রমভিত্তিক। সোমবার সচিবালয়ে (১৩ মে) শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এ বিষয়ে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানা গেছে।
মূল্যায়নের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কমিটি সম্প্রতি যে সুপারিশ করেছিল, তা কিছুটা পরিবর্তন করে লিখিত অংশের ওয়েটেজ বাড়ানোর প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়েছে। সভায় মন্ত্রণালয়, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় উপস্থিত একাধিক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেছেন, নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী এসএসসি পরীক্ষায় লিখিত ওয়েটেজ ৬৫ শতাংশ এবং কার্যক্রমভিত্তিক ওয়েটেজ ৩৫ শতাংশ হবে। প্রথম বছরের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে ধাপে ধাপে কার্যক্রমভিত্তিক ওয়েটেজ বাড়ানো হবে। লিখিত প্রশ্নপত্র হবে কার্যক্রমের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল রেখে।
শ্রেণি কার্যক্রম বলতে বোঝানো হয়েছে, অ্যাসাইনমেন্ট, উপস্থাপন, অনুসন্ধান, প্রদর্শন, সমস্যার সমাধান, পরিকল্পনা প্রণয়নের মতো কাজ। প্রাথমিক সিদ্ধান্তের পর বিষয়টি আরও পর্যালোচনা করা হবে। এরপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে কর্তৃপক্ষ।
এর আগে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উচ্চ পর্যায়ের কমিটি মূল্যায়নের লিখিত ওয়েটেজ ৫০ শতাংশ আর কার্যক্রমভিত্তিক ৫০ শতাংশ রাখার সুপারিশ করে। সোমবারের সভায় সেটি সামান্য পরিবর্তন করা হয়।
আরো পড়ুন: ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির ষান্মাসিক মূল্যায়নের সূচি
সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, এনসিটিবি দ্রুত আনুষঙ্গিক প্রক্রিয়া শেষ করলে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য জাতীয় শিক্ষাক্রম সমন্বয় কমিটির (এনসিসিসি) সভায় বিষয়টি তোলা হবে। নতুন শিক্ষাক্রমে দশম শ্রেণি পড়াশোনা শেষে পাবলিক পরীক্ষার নাম এসএসসিই থাকবে।
২০২৫ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা হবে নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী। এ পরীক্ষায় ১০টি বিষয়ের ওপর শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হবে। প্রতিটি বিষয়ের মূল্যায়নে শিক্ষার্থীদের বিরতিসহ ৫ ঘণ্টা করে কেন্দ্রে থাকতে হবে।
গত বছর দেশে নতুন শিক্ষাক্রম শুরু হয়। বর্তমানে প্রাথমিকে প্রথম থেকে তৃতীয় এবং ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রমে অধ্যয়ন করছে। পর্যায়ক্রমে ২০২৭ সালে দ্বাদশ শ্রেণিতেও নতুন শিক্ষাক্রম চালু হবে।