নিজস্ব প্রতিবেদক |
প্রশ্নপত্র ফাঁস ঠেকাতে পাবলিক পরীক্ষায় এমসিকিউ (বহুনির্বচনি) পদ্ধতি তুলে দেওয়ার পক্ষে এবার অভিমত দিলো আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পদকসহ সরকার পক্ষের সাত জন প্রতিনিধি শিক্ষা বোর্ডগুলোতে আলাদা প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেওয়ার পদ্ধতি চালু করার পক্ষে সুপারিশ করেছেন। পাশাপাশি সৃজনশীল প্রশ্নপত্রের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের ওপর থেকে বাড়তি চাপ কমানোরও সুপারিশ করেন তারা।
মঙ্গলবার (২৭ মার্চ) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের সঙ্গে বৈঠক এ অভিমত দেন আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিরা।
আওয়ামী লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাঁপার নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলের বাকি সদস্যরা হলেন অধ্যাপক প্রিয়ব্রত পাল, অধ্যাপক ড. পি এম শফিকুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. জুনায়েদ হালিম, ড. এ কে এম সালাহউদ্দিন, ড. আমিনুর রহমান সুলতান এবং অ্যাডভোকেট সারোয়ার জাহান।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, যারা প্রশ্ন করেন এবং প্রশ্ন মডারেট করেন, তাদের প্রয়োজনে বদলাতে হবে। আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিরা সুপারিশ করেন প্রশ্নপত্রের আট থেকে দশটি সেট ছাপানোর এবং সম্ভব হলে এসব সেটে পরীক্ষা নেওয়ার। অঞ্চলভেদে সব সেটে পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়টি ভেবে দেখার কথা জানান তারা।
গত এসএসসি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের ব্যাপক অভিযোগ ওঠার পর সরকারি দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রীর এটাই প্রথম বৈঠক।
সরকারি দলের পক্ষে এমসিকিউ তুলে দেওয়ার কথা বলার আগে গত ২০ ফেব্রুয়ারি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন একই অভিমত দিয়েছিলেন।
মঙ্গলবারের বৈঠকে সরকারি দলের প্রতিনিধিরা বলেন, এমসিকিউ পদ্ধতির কারণে প্রশ্নপ্রত্র ফাঁসের পরিস্থিতি ভয়াবহ হলে এই পদ্ধতি তুলে দিতে হবে। সৃজনশীল পদ্ধতির লেখাপড়ার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের ওপর চাপ কমানোর বিষয়টি ভেবে দেখতে হবে। বিজিপ্রেসের কর্মচারীর সংখ্যা কমিয়ে আনতে হবে। জনবল কমিয়ে আনতে প্রয়োজনে অটোমেটিক পদ্ধতিতে প্রশ্নপত্র ছাপার ব্যবস্থা করা যায় কিনা, তা ভেবে দেখা উচিত। প্রয়োজনে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিজস্ব প্রেস স্থাপন করা যায় কিনা, তাও ভেবে দেখা যেতে পারে।
এছাড়া সিলেবাস পরিবর্তন করে সৃজনশীল পদ্ধতিতে লেখাপড়ার চাপ কমানোর উপায় খুঁজে দেখার আহ্বান জানান প্রতিনিধিরা।