ডেস্ক,১৬ পেব্রুয়ার ি২০২৩: অপরিকল্পিতভাবে গড়ে ওঠা এবং তদবিরে এমপিওভুক্ত হওয়া দেশের বহু স্কুল-কলেজে কাম্য শিক্ষার্থী নেই। গত তিন দশকে শিক্ষার্থী সংখ্যায় ভুল তথ্য দিয়ে এমপিওভুক্ত হলেও পরে অনেক প্রতিষ্ঠানেরই শিক্ষার্থী সংখ্যা কমেছে। কিন্তু কম শিক্ষার্থী থাকা স্কুল-কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীরা সরকারি কোষাগার থেকে ঠিকই এমপিও বাবদ প্রতিমাসে বেতন-ভাতা তুলছেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবার ওসব প্রতিষ্ঠানের তালিকা সংগ্রহের উদ্যোগ নিয়েছে। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের কাছে মানহীন এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকা চাওয়া হয়েছে।
জানা যায়, দেশের নিম্ন মাধ্যমিক ও তদূর্ধ্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যক্তিগত উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয়ে আসছে। পরে আবেদন অনুযায়ী সরকার এগুলোকে পর্যায়ক্রমে এমপিওভুক্ত করে আসছে।
এমপিওভুক্ত হলে সরকারি কোষাগার থেকে বেতন-ভাতার বড় অংশই পাওয়া যায়। সর্বশেষ জারি হওয়া এমপিও নীতিমালায় বলা হয়েছে, এমপিওভুক্ত কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কাম্য শিক্ষার্থী বা কাম্য ফলাফলের ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে না পারলে মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমপিও স্থগিত বা বাতিল করতে পারবে।
এমপিও স্বগিত অথবা বাতিলকৃত কোনো প্রতিষ্ঠান পরবর্তীতে এমপিওর শর্ত পূরণ করলে পুনরায় এমপিও ছাড়ের যোগ্য হিসেবে বিবেচিত হবে। তবে এমপিও স্থগিত থাকা সময়ের কোনো বকেয়া বেতন-ভাতা পাবেন না।
এদিকে উপ-সচিব মো. মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি চিঠি গত ১২ ফেব্রুয়ারি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে পাঠানো হয়েছে।
এতে যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কাম্য শিক্ষার্থী নেই বা এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় মানদণ্ড বজায় রাখতে ব্যর্থ হয়েছে, সেসব প্রতিষ্ঠানের তালিকা, তথ্য, সুস্পষ্ট মতামতসহ বিস্তারিত প্রতিবেদন জরুরিভিত্তিতে মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে বলা হয়েছে।
এর আগে গত ১৮ ডিসেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগে অনুষ্ঠিত এক সভায় কম শিক্ষার্থী থাকা ও মান ধরে রাখতে না পারা প্রতিষ্ঠানগুলোর এমপিও বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
ওই সভায় পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরকে মান ধরে রাখতে না পারা প্রতিষ্ঠানগুলোর তালিকা পাঠাতে বলা হয়েছিলো। এবার মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের কাছে মানহীন এমপিওভুক্ত স্কুল-কলেজগুলোর তথ্য চাইলো মন্ত্রণালয়।
source: https://www.amaderbarta.net