নিজস্ব প্রতিবেদক |
অনেক এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীর জন্ম তারিখ ও নামের বানানসহ একাধিক ভুল রয়েছে। আর এসব ভুল শোধরাতে না পারলে আর্থিক ক্ষতিসহ নানারকম ঝামেলায় পড়তে হয়। কারো নামের আংশিক পরিবর্তন করারও প্রয়োজন হয়।
প্রচলিত নিয়মে শিক্ষক-কর্মচারীরা জেলা শিক্ষা অফিসারের মাধ্যমে মহাপরিচালক বরাবর আবেদন করেন।
এরপর অধিদপ্তর থেকে চিঠি দিয়ে আবেদনকারীদের সশরীরে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে হাজির হতে বলা হয়। এরপর অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা আবেদনকারীদের পাসের বোর্ড/বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগাযোগ করে যাচাই-বাছাই করেন। প্রচলিত নিয়মে সারা বছরই এটি করা যায়। এত একাধিকবার শিক্ষা কর্মকর্তাদের বিভিন্ন বোর্ডে দৌড়াতে হয়। এই দীর্ঘ প্রক্রিয়াটি আর সারাবছর যাবত না করে একবারেই শেষ করতে চায় শিক্ষা অধিদপ্তর। একবারেই যার যা ভুল রয়েছে এবং শোধরাতে চায় তাদেরকে ৩০ এপ্রিলের মধ্যে আবেদন করতে বলা হবে। সব আবেদন নিয়ে একবারে সভা করে সিদ্ধান্ত দেয়া হবে। গত ২৪ মার্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক মো: মাহাবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এমপিও কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সিদ্ধান্তের ধারাবাহিকতায় আলাদা অফিস আদেশ জারি করবে অধিদপ্তর।
অধিদপ্তরের পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) জানান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানরা তার অধীনস্থ শিক্ষকদের জন্ম তারিখ ও নামের বানান (মৌলিক পরিবর্তন নয়, আংশিক) সংশোধনের প্রস্তাব জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার মাধ্যমে আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠাবেন মর্মে সিদ্ধান্ত হয় এমপিও কমিটির সভায়। শিগগিরই এটি চিঠি আকারে জেলা শিক্ষা অফিসারদের কাছে পাঠানো হবে।