সরকারের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগে এবার চাকরি দিলেন ছাত্রলীগের সাবেক দুই নেতাকে। আজ বুধবার (৩১ মে) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সাবেক ছাত্রলীগ নেতা টগর মো. সালেহ ও সাইফুর রহমান বাদশার হাতে চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
আরো পড়ুন: এবার লাইভে এসে সব সার্টিফিকেট পোড়ালেন ঢাকা কলেজের সালাম
এর আগে গত সোমবার (২৯ মে) নিজের সব একাডেমিক সার্টিফিকেট পুড়িয়ে প্রতিবাদ জানানো ইডেন কলেজের ছাত্রী মুক্তা সুলতানাকে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের অধীন ‘এস্টাবলিশমেন্ট অব সিকিউরড ইমেইল ফর গভর্নমেন্ট অ্যান্ড ডিজিটাল লিটারেসি সেন্টার’ প্রজেক্টে ‘কন্টেন্ট ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল কমিউনিকেশন অফিসার’ পদে চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দিয়েছিলেন পলক।
জানা যায়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় থাকায় ২০১৪ সালে টগরের হাত ও পায়ের রগ কেটে দেয় শিবির নেতাকর্মীরা। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে উন্নত চিকিৎসা হওয়ায় সেই যাত্রায় বেঁচে ফিরেন তিনি। এরপর থেকে দ্বারে দ্বারে ঘুরেও চাকরি পাচ্ছিলেন না তিনি। ২০২১ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চমান সহকারী পদে নিয়োগ হওয়ার কথা ছিলা টগরের। তবে অদৃশ্য কারণে সেই নিয়োগ এখনো আটকে আছে।
সাম্প্রতিক সময়ে ছাত্রলীগের সাবেক নেতাদের চাকরি পাওয়া নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হলে তা দৃষ্টিগোচর হয় প্রতিমন্ত্রী পলকের। পরে আজ প্রতিমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে টগর মো. সালেহকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অধীন শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন প্রকল্প-২ এর চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ট্রেনিং কো-অর্ডিনেটর এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সাইফুর রহমান বাদশাকে একই প্রকল্পের ঠাকুরগাঁও জেলার ট্রেনিং কো-অর্ডিনেটর পদে চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেন।
সাবেক ছাত্রলীগ নেতা টগর মো. সালেহ বলেন, আমি অনেক আগে পড়ালেখা শেষ করেছি। কিন্তু সম্মানজনক কোন জীবিকায় ছিলাম না। তাই হীনমন্যতায় ভুগতাম, খারাপ লাগতো। আজকে চাকরি পেয়ে ভালো লাগছে।
সাইফুর রহমান বাদশা বলেন, দেশের প্রত্যেক এমপি-মন্ত্রী ২-৪ জন করে নির্যাতিত, অসহায় সাবেক ছাত্রনেতা কর্মীর দায়িত্ব নিলে দেশে আর কোন শিক্ষিত সাবেক ছাত্রনেতা, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কর্মী করুণ অবস্থায় দিনাতিপাত করতো না। আর কাউকে রিকশা চালাতে হতো না।
এ বিষয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, সরকারের একটা জায়গায় প্রধানমন্ত্রী কাজ করার সুযোগ দিয়েছেন। আমার দ্বারা যতটুকু সম্ভব তার মধ্যে থেকে নিয়মতান্ত্রিকভাবে তরুণদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করছি। আমার ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের দেখছি। এটা আমার নৈতিক দায়িত্ব।