নিজস্ব প্রতিবেদক :ঘোষিত দ্বিতীয় শ্রেণির মর্যাদা (বর্তমানে ১০ম গ্রেড) কার্যকর করার দাবিতে সমাপনী পরীক্ষা বর্জন ও কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা।
শিক্ষকদের দাবি, শ্রেণিতে (তৃতীয় শ্রেণি) শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য করা হয়েছে। শ্রেণি বিলুপ্ত করার পর গ্রেডেও প্রধান শিক্ষকদের বঞ্চিত করা হয়েছে।
শ্রেণি বিলুপ্ত হলেও আগের দ্বিতীয় শ্রেণির মর্যাদা অনুযায়ী তাদের ১০ গ্রেডের অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানানো হয়েছে।
৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী ‘ঘোষিত প্রতিশ্রুতি’ বাস্তবায়িত না হলে আগামী ২৩ নভেম্বর সারাদেশে অনুষ্ঠিত সমাপনী পরীক্ষা বর্জন করার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতি নেতারা শিক্ষাবার্তাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বাংলাদেশ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতির আহবায়ক রিয়াজ পারভেজ জানান, নতুন পে স্কেলে সব দিক থেকে শিক্ষকদের বঞ্চিত করা হয়েছে। এমতবস্থায় আমরা সকল সংগঠনকে কেন্দ্রিয়ভাবে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক ফেডারেশন গঠনের মাধ্যমে আমরা দাবীদাওয়া গঠনের তাগিদ অনুভব করছি।
বাংলাদেশ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতির খুলনা বিভাগের আহবায়ক স্বরুপ দাস জানান, চলমান পরিস্থিতিতে আন্দোলনের কোন বিকল্প নেই। এক্ষেত্রে আমাদের সকলকে এক সাথে কাজ করতে হবে।
আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষকদের বেতন ১১তম গ্রেডে পুনর্র্নিধারণ করা না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতি। শুক্রবার দুপুরে ১১ দফা দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের হলরুমে প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতি আয়েজিত এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সমিতির সভাপতি নাসরিন সুলতানা একথা জানান।
নাসরিন সুলতানা বলেন, সহকারী শিক্ষকদের বেতন ১১তম গ্রেডে পুনর্র্নিধারণ সহ ১১ দফা দাবি আদায় না হলে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার সব দায়িত্ব বর্জন ও কর্মবিরতি পালনের মতো কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবো। তিনি বলেন, সহকারী শিক্ষকরা ক্রমাগত বৈষ্যম্যের শিকার হচ্ছেন। এ বৈষ্যম্য না কমিয়ে বরং আরও বাড়ানো হচ্ছে। স্বাধীনতার পর থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকের মধ্যে বেতনের পার্থক্য ছিলো একধাপ। ২০০৬ সালে বেতন স্কেলের পার্থক্য বাড়িয়ে করা হয় দু’ধাপ।
১৯৭৩ সালে একজন প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকের মধ্যে বেতনের ব্যবধান ছিলো মাত্র ১০ টাকা। কিন্তু বর্তমানে মূল বেতনের ব্যবধান ২ হাজার ৩শ টাকা করা হয়েছে। জানান নাসরিন সুলতানা। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বাতেন, সাংগঠনিক সম্পাদক হারুনুর রশিদ, সহ-সভাপতি মনির হোসেন প্রমুখ।