রাজশাহী প্রতিনিধি | ২৭ এপ্রিল, ২০২০
একাদশ শ্রেণির ভর্তি কার্যক্রম ৩০ দিনের মধ্যে সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটি। এ বছর ২০ দিনের মধ্যে এসএসসসির পুনঃনিরীক্ষার ফল দেয়ার সিদ্ধান্তও নেয়া হয়েছে। আজ সোমবার (২৭ এপ্রিল) অনলাইনে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। প্রচলিতভাবে ১ মাসে ফল পুনঃনিরীক্ষা ও এক মাস ২০ দিন সময় ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করা হয়।
কমিটির সভাপতি ও ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মুহা. জিয়াউল হক সভায় সভাপতিত্ব করেন। সভায় দেশের দশটি শিক্ষা বোর্ডের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন। বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) প্রফেসর ড. মো. সাইফুল ইসলাম ও প্রফেসর ড. মো. সোহেল রহমান সভায় অংশ নেন।
সভা শেষে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এ বছর একাদশ ভর্তির কার্যক্রমে বেশ কিছু পরিবর্তনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। প্রতিবছর ১ মাস ২০ দিনে ভর্তি সম্পন্ন করা হয়। সেক্ষেত্রে এ বছর ৩০ দিনের মধ্যে ভর্তি শেষ করা হবে। এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পর সাধারণত ৩০ দিনের মধ্যে পুনঃনিরীক্ষণ করা হয়। এ বছর ২০ দিনের মধ্যে পুনঃনিরীক্ষার ফলাফল দেয়া হবে। সেই সঙ্গে অনলাইন ভর্তির কার্যক্রম চলাকালে পুনঃনিরীক্ষণের মাধ্যমে পরিবর্তিত ফলাফলের শিক্ষার্থীদের জন্য কলেজগুলো ০ দশমিক ৫ শতাংশ আসন সংরক্ষণ করবে। অচিরেই বোর্ডের ওয়েব সাইটে ভর্তির নির্দেশিকা প্রকাশ করা হবে এবং সংশ্লিষ্ট কলেজসমূহ সেইভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোহা. মোকবুল হোসেন অনলাইন মিটিং শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের দুঃচিন্তার কোনো কারণ নাই। কলেজগুলো অনেক আসন রয়েছে। প্রত্যেক উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী তাদের মনোনয়ন ও ফলাফল ভিত্তিক মেধা অনুযায়ী ভর্তি হতে পারবে।
তিনি বলেন, রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের ৮টি জেলায় কলেজ সংখ্যা ৭৬৫ টি। মোট আসন ছিল ২ লাখ ২৯ হাজার। ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দে ভর্তি হয়েছিল ১ লাখ ৬০ হাজার। অতিরিক্ত আসন ছিল ৬৯ হাজার।
২০২০ খ্রিষ্টাব্দে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ৮টি জেলায় মোট ৭৯৯টি কলেজে আসন সংখ্যা ২ লাখ ৩৯ হাজার। এবছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে ২ লাখ ১ হাজার ২৮৮ জন পরীক্ষার্থী। উত্তীর্ণ সকল পরীক্ষার্থী ভর্তি হলেও প্রায় ৩৮ হাজার আসন শূণ্য থাকবে। সুতরাং শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ভর্তি বিষয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোন কারণ নেই।
তিনি সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সুস্থ থাকার ও শিক্ষার্থীদের বাংলাদেশ টেলিভিশনের দূরশিক্ষা কার্যক্রম ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমে অংশ নেয়ার পরামর্শ দেন।