নিজস্ব প্রতিবেদক,৮ ডিসেম্বর ২০২২: আগামী শিক্ষাবর্ষের জন্য একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হবে আজ বৃহস্পতিবার থেকে। ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রার্থীরা তাদের ভর্তির আবেদন জমা দিতে পারবে।
গতকাল বুধবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ভর্তি নীতিমালায় এসব বলা হয়েছে।
নীতিমালায় আরও বলা হয়েছে, ভর্তির আবেদন যাচাই-বাছাই ও আপত্তি নিষ্পত্তি করা হবে ১৮ থেকে ২২ ডিসেম্বর।
আরো পড়ুনঃ একাদশে ভর্তির নীতিমালা প্রকাশ,
পুনর্নিরীক্ষণে ফলাফল পরিবর্তিত শিক্ষার্থীদের আবেদন নেওয়া হবে ২৬ ডিসেম্বর। একই দিন পর্যন্ত পছন্দক্রম পরিবর্তন করা যাবে। প্রথম পর্যায়ে নির্বাচিতদের ফল প্রকাশ করা হবে ৩১ ডিসেম্বর রাত ৮টায়।
শিক্ষার্থীর নির্বাচন নিশ্চয়ন ১ থেকে ৮ জানুয়ারি। দ্বিতীয় পর্যায়ে আবেদন গ্রহণ ৯ ও ১০ জানুয়ারি (রাত ৮টা পর্যন্ত)। প্রথম মাইগ্রেশনের ফল প্রকাশ ১২ জানুয়ারি রাত ৮টায়। একই সময়ে দ্বিতীয় পর্যায়ের আবেদনের ফল প্রকাশ করা হবে। দ্বিতীয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীর নির্বাচন নিশ্চয়ন ১৩ ও ১৪ জানুয়ারি (রাত ৮টা পর্যন্ত)। তৃতীয় পর্যায়ে আবেদন গ্রহণ ১৬ জানুয়ারি। দ্বিতীয় মাইগ্রেশনের ফল প্রকাশ ১৮ জানুয়ারি রাত ৮টায়। একই সময় তৃতীয় পর্যায়ের আবেদনের ফল প্রকাশ করা হবে। এই পর্যায়ের শিক্ষার্থীর নির্বাচন নিশ্চয়ন ১৯ ও ২০ জানুয়ারি। ভর্তি ২২ থেকে ২৬ জানুয়ারি। ক্লাস শুরু হবে ১ ফেব্রুয়ারি।
কয়েক বছর ধরে এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে, অনলাইনের মাধ্যমে সরকারি-বেসরকারি কলেজ এবং মাদ্রাসায় ছাত্রদের কেন্দ্রীয়ভাবে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি করা হচ্ছে।
শিক্ষার্থীরা সর্বনিম্ন পাঁচটি এবং সর্বোচ্চ ১০টি কলেজে আবেদন করতে পারবে। সংশ্লিষ্ট বোর্ড একজন ছাত্রকে তাদের ফলাফল এবং পছন্দের ভিত্তিতে একটি কলেজ দেবে। তিন ধাপে ভর্তি প্রক্রিয়া চলাকালীন শিক্ষার্থীরা সর্বোচ্চ ১০টি কলেজ বা মাদ্রাসায় আবেদন করতে পারবে, প্রতিটির জন্য ফি ১৫০ টাকা।
জানা গেছে, ভর্তির জন্য সেশন চার্জ ও ফি হিসেবে ঢাকার এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে মেট্রোপলিটন এলাকায় বাংলা ও ইংরেজি মাধ্যমে সর্বোচ্চ ৫ হাজার, ঢাকা ছাড়া মেট্রোপলিটন এলাকায় বাংলা ও ইংরেজি মাধ্যমে সর্বোচ্চ ৩ হাজার, জেলায় বাংলা ও ইংরেজি মাধ্যমে সর্বোচ্চ ২ হাজার এবং উপজেলা বা মফস্বলে বাংলা ও ইংরেজি মাধ্যমে সর্বোচ্চ ১ হাজার ৫০০ টাকা নিতে পারবে। এর বাইরে কোনো প্রতিষ্ঠান উন্নয়ন ফি নিতে পারবে না।
ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার নন-এমপিও/আংশিক এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বাংলা মাধ্যমের শিক্ষার্থীদের জন্য সেশন চার্জ, ভর্তি ও উন্নয়ন ফি সর্বোচ্চ ৭ হাজার ৫০০ এবং ইংরেজি মাধ্যমের জন্য সর্বোচ্চ ৮ হাজার ৫০০ টাকা নিতে পারবে।
ঢাকা ছাড়া মেট্রোপলিটন এলাকায় বাংলা মাধ্যমের জন্য ৫ হাজার এবং ইংরেজি মাধ্যমের জন্য সর্বোচ্চ ৬ হাজার টাকা নেওয়া যাবে। জেলায় বাংলা মাধ্যমে ৩ হাজার ও ইংরেজি মাধ্যমে সর্বোচ্চ ৪ হাজার এবং উপজেলা বা মফস্বলে বাংলা মাধ্যমে ২ হাজার ৫০০ ও ইংরেজি মাধ্যমে সর্বোচ্চ ৩ হাজার টাকা নেওয়া যাবে। দরিদ্র, মেধাবী ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের ভর্তির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো যতটা সম্ভব ফি মওকুফের ব্যবস্থা করবে।
ভর্তির প্রাথমিক নিশ্চয়নের সময় শিক্ষা বোর্ড একজন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে নেবে ৩২৮ টাকা। এর মধ্যে রেজিস্ট্রেশন ফি ১৩৫ টাকা, ক্রীড়া ফি ৫০, রোভার/রেঞ্জার ফি ১৫, রেড ক্রিসেন্ট ফি ১৬, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফি ৭, বিএনসিসি ফি ৫ এবং শিক্ষককল্যাণ তহবিল ও অবসর সুবিধা ভাতা ফি ১০০ টাকা। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীর কাছ থেকে রেড ক্রিসেন্ট ফি নেবে ২৪ টাকা।
ভর্তি নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ভর্তির জন্য কোনো বাছাই বা ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হবে না। শুধু শিক্ষার্থীর এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে ভর্তি করা হবে। ৯৩ শতাংশ আসনে মেধার ভিত্তিতে ভর্তি করা হবে। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য ২ শতাংশ কোটা থাকবে। তবে আবেদনকারীর সংখ্যা বেশি হলে তাদের মধ্যে মেধার ভিত্তিতে ভর্তির সুযোগ পাবে। ৫ শতাংশ কোটা থাকবে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও নাতি-নাতনির জন্য। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীরা সংশ্লিষ্ট বোর্ডে ম্যানুয়ালি ভর্তির আবেদন করতে পারবে। প্রবাসীদের সন্তান/বিকেএসপি থেকে পাস করা শিক্ষার্থী/খেলাধুলা এবং সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে বিভাগীয় বা জাতীয় পর্যায়ে অসামান্য অবদানের জন্য পুরস্কারপ্রাপ্তরা ম্যানুয়ালি আবেদন করতে পারবে। নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা যোগ্যতা থাকা সাপেক্ষে নিজ নিজ বিভাগে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ভর্তির সুযোগ পাবে।