একসঙ্গে ঢাবির শিক্ষক হলেন আজহার-অর্নি দম্পতি

Image

সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আইন বিভাগে ৪ জন প্রভাষক নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। নিয়োগ পাওয়া সবাই বিভাগটির সাবেক শিক্ষার্থী ছিলেন। প্রত্যেকেই অক্সফোর্ড এবং কেম্ব্রিজের মতো বিশ্বসেরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দ্বিতীয় মার্স্টাস করছেন। এমন তুখোড় মেধাবী শিক্ষকের নিয়োগ দিতে পেরে সন্তুষ্ট বিভাগটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল।

জানা যায়, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় আইন বিভাগে ৪ জনকে প্রভাষক পদে নিয়োগের জন্য মনোনয়ন দেয়।

নিয়োগ পাওয়াদের মধ্যে অন্যতম দুইজন হলেন- মো. আজহার উদ্দিন ভূইয়া ও শাহরিমা তানজিন অর্নি। তারা দুজনই বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ থেকে একসঙ্গে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করে যুক্তরাজ্যের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে আবার স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিয়েছেন।

আজহার এবং অর্নি যুক্তরাজ্যের শেভেনিং ও কমনওয়েলথ স্কলারশিপ পেয়ে কেমব্রিজে পড়তে যেয়ে সেখানে থাকাকালীন সময়ে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। এর আগে আজহার উদ্দিন বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসে (বিউপি) প্রভাষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজে (ডেন্টাল ইউনিট) চান্স পেয়েও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে ভর্তি হওয়া শাহরিমা তানজিনা অর্নি একাডেমিক ফলাফলেও ছিলেন সেরা। বিভাগ থেকে ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট পেয়ে স্নাতক উত্তীর্ণ হন। ছাত্র রাজনীতিতেও বেশ সক্রিয় ছিলেন অর্নি। যাতায়াত ছিল বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনেও। সর্বশেষ ডাকসুর আন্তর্জাতিক সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের উপ-আন্তর্জাতিক সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেছেন অর্নি।

নিয়োগ পাওয়ার পর মো. আজহার উদ্দিন ভূইয়া জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে প্রভাষক নিয়োগের ইতিহাসে সবচেয়ে প্রতিযোগিতামূলক ইন্টারভিউ ছিলো এবার। ইন্টারভিউ দিয়েছে ৪ জন কেমব্রিজের শিক্ষার্থী, একজন অক্সফোর্ডের শিক্ষার্থী, ৩ জন জেনেভার শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে প্রভাষক পদের জন্য মনোনীত হওয়াটা সম্মানের এবং গর্বের।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল এক ফেসবুক পোস্টে এই নিয়োগ নিয়ে নিজের অভিজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, নিয়োগ প্রক্রিয়ার একজন সদস্য হিসেবে এমন চারজন তুখোড় মেধাবী শিক্ষকের নিয়োগে ভূমিকা রাখতে পেরে আমার সব অবসাদ মুছে গেছে। মনে হচ্ছে, চেয়ারম্যান জীবনের কিছু সার্থকতা অন্তত তৈরি হলো অবশেষে। তারপরও দু:খ আছে একটু যে, আরও কয়েকজন যোগ্য শিক্ষককে আমরা নিতে পারিনি পদ শূন্য না থাকার কারণে।

Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।