এইচএসসি পরীক্ষা দু’মাস পেছানোর দাবি, যা বলছে বোর্ড

Image

চলতি বছরের অনুষ্ঠিতব্য এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা অন্তত দুমাস পিছিয়ে ৩১ আগস্ট নেওয়ার দাবি জানিয়েছে পরীক্ষার্থীদের একটি অংশ। তারা বলছেন, পরীক্ষার সিলেবাস সংক্ষিপ্ত করার ফলে তাদের কোনো সুবিধা হচ্ছে না। তাই সিলেবাস আরও কমাতে হবে, তা না হলে পরীক্ষা পিছিয়ে দিতে হবে। তবে কর্তৃপক্ষ বলছে, পরীক্ষা পেছানোর কোনো সুযোগ নেই।

শিক্ষার্থীরা জানান, তারা নবম শ্রেণিতে ওঠা মাত্রই করোনা শুরু হয়েছিল। পরে দশম শ্রেণি শেষ করার পর এসএসসি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা হলেও ওই তারিখ থেকে তিন মাস পিছিয়ে এ এসএসসি পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। এরপর ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে এইচএসসির ক্লাস শুরু করে এখন ২০২৪ সালের জুনে পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে।

সাধারণত দেশে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা দুই বছর মেয়াদি। এই দুই বছর পড়াশোনা শেষে উচ্চ মাধ্যমিক পাবলিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। কিন্তু এবারের এইচএসসি পরীক্ষা হবে স্বাভাবিক সময়ের সাত মাস আগে, অর্থাৎ ১৭ মাস শেষে। আর এতেই আপত্তি পরীক্ষার্থীদের।

আকাশ আহমেদ নামে এক পরীক্ষার্থী বলেন, অনেকে বলছেন পরীক্ষা শর্ট সিলেবাসে হবে। তাদের বলছি, আপনারা সে শর্ট সিলেবাসটা একটু খুলে দেখবেন। আমাদের ফাস্ট ইয়ার শেষ হয়েছে ৮ থেকে ৯ মাসে। আর সেকেন্ড ইয়ার ৪ থেকে ৫ মাসে। এই সময়ের মধ্যে বিভিন্ন কারণে কলেজ বন্ধও ছিল। আমরা সব মিলিয়ে কলেজে ক্লাস করেছি ১৩-১৪ মাসের মতো। এ সময়ের মধ্যে পরীক্ষার প্রস্তুতি কোনোভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব নয়।

এদিকে, এ পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন শিক্ষার্থীরা। আগামীকাল বুধবার (২২ মে) রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে সকালে ১০টায় এ কর্মসূচি শুরু হবে। কর্মসূচি থেকে তারা একাধিক দাবি জানাবেন। এগুলোর মধ্যে আগামী ৩০ জুনের পরীক্ষা পিছিয়ে ৩১ আগস্টে পরীক্ষা নেওয়ার দাবি উল্লেখযোগ্য।

কর্মসূচির আহ্বায়ক রাকিব আহমেদ বলেন, রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় এইচএসসি পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে আগামীকাল বুধবার কর্মসূচি পালিত হবে।

এর আগে, গত এপ্রিলে চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয়। ঘোষিত তারিখ অনুযায়ী, ২০২৪ সালের উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা আগামী ৩০ জুন শুরু হবে। পরীক্ষা শেষ হবে ১১ আগস্ট। আর ব্যবহারিক পরীক্ষা ১২ আগস্ট থেকে ২১ আগস্টের মধ্যে শেষ করতে হবে।

পরীক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষা বোর্ড কর্মকর্তারা বলেন, পড়াশোনার জন্য সময় কম পাওয়ায় সিলেবাস সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে। এখন আর এ পরীক্ষা পেছানোর সুযোগ নেই।

জানতে চাইলে বরিশালের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. ইউনুস আলী সিদ্দিকী বলেন, এ ধরনের বোর্ড পরীক্ষাগুলো সরকারের সিদ্ধান্ত। সরকার পরীক্ষা নেওয়ার জন্য ইতিমধ্যে একটা তারিখ নির্ধারণ করে দিয়েছেন। আমরা কেবল এ পরীক্ষা আয়োজন করে থাকি।

অধ্যাপক ইউনুস আলী বলেন, পরীক্ষা আয়োজনের বিষয়ে আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। বেশিরভাগ শিক্ষার্থীরাও পরীক্ষায় অংশ নিতে প্রস্তুত। প্রতিবছরই শিক্ষার্থীদের একটি অংশ এ ধরনের দাবি-দাওয়া নিয়ে সামনে আসেন। পরীক্ষার্থীদের মানববন্ধনের বিষয়টি বোর্ড চেয়ারম্যানের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমাদের কোনো মন্তব্য নেই। তারা যেকোনো কর্মসূচিই করতে পারেন।

Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।