স্টাফ রিপোর্টার ॥ উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা এখন থেকে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে দেওয়া হবে।
সচিবালয়ে রবিবার সিলেটের বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স করে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা দেওয়ার কার্যক্রম উদ্বোধন করেন শিক্ষা সচিব মো. নজরুল ইসলাম খান।
এখন থেকে ডাচ বাংলা ও অগ্রণী ব্যাংকের সহায়তায় মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা পরিশোধ করবে।
২০১৪ সালের জুলাই থেকে ২০১৭ সালের জুন পর্যন্ত ৫১২ কোটি ৭৫ লাখ টাকার উপবৃত্তি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর ৪০ শতাংশ ছাত্রী ও ১০ শতাংশ ছাত্রকে উপবৃত্তি দিচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
উপবৃত্তির আওতায় বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের মাসিক ১৭৫ টাকা ও অন্য শাখায় শিক্ষার্থীদের ১২৫ টাকা এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি বাবদ অতিরিক্ত ৫০ টাকা দেওয়া হয়।
একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির পর বই কেনার জন্য বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের ৭০০ টাকা ও অন্য শাখায় শিক্ষার্থীদের ৬০০ টাকা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া দ্বাদশ শ্রেণীতে বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার ফি বাবদ ৯০০ টাকা ও অন্য শাখায় শিক্ষার্থীরা ৬০০ টাকা উপবৃত্তি পাচ্ছেন।
নতুন ব্যবস্থায় এ টাকা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পরিশোধ করা হবে।
কলেজে যারা ভর্তি হয় লোনের মাধ্যমে তাদের হাতে একটি করে ট্যাব বা ল্যাপটপ তুলে দেওয়া যায় কি না- সে প্রশ্ন তুলে শিক্ষা সচিব বলেন, ‘আউটসোর্সিং করে শিক্ষার্থীরা ব্যাংক লোনের টাকা পরিশোধ করতে পারবে।’
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য ডায়নামিক ওয়েবপোর্টাল করতে অনুষ্ঠানে উপস্থিত অগ্রণী এবং ডাচবাংলা বাংকের কর্মকর্তাদের সহায়তা চেয়ে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আপনারা সিএসআর’র (করপোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা) মাধ্যমে এই ডায়নামিক ওয়েবপোর্টাল বানিয়ে দিতে পারেন কি না?”
অনুষ্ঠানে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ফাহিমা খাতুন, উচ্চ মাধ্যমিক উপবৃত্তি প্রকল্পের পরিচালক শ্যামা প্রসাদ বেপারী, অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ আব্দুল হামিদ, ডাচ বাংলা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।