নিজস্ব প্রতিবেদক :
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, ‘শুধু সার্টিফিকেট অর্জনের জন্য উচ্চ শিক্ষা নয়। এখানে একটি বড় পরিবর্তন আনতে হবে। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষার্থীদের অনেক দায়িত্ব আছে।’
শুক্রবার রাজধানীর সোবহানবাগে ড্যাফোডিল টাওয়ারে দুই দিনব্যাপী ‘ইনোভেটিভ টিচিং অ্যান্ড লার্নিং এক্সপো-২০১৭’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী।
ড্যাফোডিল এডুকেশন নেটওয়ার্ক ও ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশ যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ‘শিক্ষা শুধু শ্রেণিকক্ষে সীমাবদ্ধ রাখলে চলবে না। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য নতুন প্রজন্মকে প্রস্তুত করতে হবে। নতুন জ্ঞান অনুসন্ধান করতে হবে। এজন্য ইনোভেটিভ টিচিং ও লার্নিং গুরুত্বপূর্ণ।’
তিনি আরো বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল চিন্তা করতে হবে এবং উদ্ভাবনী শক্তিকে কাজে লাগাতে হবে। সৃজনশীল দৃষ্টিভঙ্গি ও উদ্ভাবনী শক্তিকে কাজে লাগিয়ে নতুন জ্ঞান সৃষ্টি করতে হবে এবং এর মাধ্যমে নিজেদের সমস্যাগুলো সমাধান করতে হবে। সেজন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রয়োজনীয় গবেষণার ব্যবস্থা থাকতে হবে।’
আমরা চিরকাল শুধু জ্ঞান ও প্রযুক্তির আমদানিকারক থাকব না, এ কথা উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের নতুন প্রজন্ম বিশ্বমানের মেধার অধিকারী। তারা একদিন জ্ঞান ও প্রযুক্তি রপ্তানি করবে।’
তিনি বলেন, ‘মানবসম্পদ গড়ার ওপর আমরা জোর দিচ্ছি। শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় দক্ষ করতে হবে। সেজন্য কারিগরি শিক্ষার প্রসারে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।’
‘প্রায় সকল শিশুকে স্কুলে নিয়ে আসা সম্ভব হয়েছে। মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত শিক্ষায় ছেলেমেয়েদের মধ্যে সমতা অর্জিত হয়েছে। নারীশিক্ষার উন্নয়নের মাধ্যমে আমাদের সমাজে বিরাট পরিবর্তন হয়েছে। সবার জন্য অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত বেসিক শিক্ষা নিশ্চিত করতে হবে,’ বলেন শিক্ষামন্ত্রী।
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. সবুর খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির উপাচার্য ড. মুনাজ আহমেদ নুর, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য ড. ইউসুফ এম ইসলাম, এনসিসি এডুকেশন ইউকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এলান নরটন এবং ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের কালচারাল সেন্টারের প্রধান সারওয়াত রেজা বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে ইনোভেটিভ টিচিং-এর জন্য দুজন প্রতিযোগীকে পুরস্কৃত করা হয়। প্রথম স্থান লাভ করেন গোপালগঞ্জ জেলার ডালনিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা লতিফা আক্তার শিউলি এবং দ্বিতীয় স্থান লাভ করেন বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের কারিকুলাম বিশেষজ্ঞ ড. মো. শাহ আলম মজুমদার।
৫৮টি ইনোভেটিভ টিচিং প্রকল্প প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। আগামীকাল শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ইনোভেটিভ লার্নিং প্রতিযোগিতার ফল ঘোষণা করা হবে।