ইবি প্রতিনিধি,২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালামের সাদৃশ্য কণ্ঠে নিয়োগ সংক্রান্ত ছয়টা অডিও ফাঁস হয়েছে৷ এতে সরগরম প্রশাসন ভবন। সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টায় দ্বিতীয় দফা আন্দোলনের ডাক দেন অস্থায়ী চাকরিজীবী পরিষদ। এ ঘটনায় পর পর ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের থানা, গোয়েন্দা সদস্যরা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের নেতৃত্বে উপাচার্য কক্ষে তল্লাশি চালানো হয়।
আরো পড়ুন: এসএসসি পরীক্ষা শুরু ৩০ এপ্রিল, রুটিন প্রকাশ
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদাত হোসেন আজাদ, সহকারী প্রক্টর শফিকুল ইসলাম, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আননূর জায়েদ বিপ্লব, বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট অফিসের প্রধান উপরেজিস্ট্রার শামছুল ইসলাম জোহা, নিরাপত্তা কর্মকর্তা আব্দুস সালাম সেলিম ও গোয়েন্দা সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, গত সপ্তাহের মঙ্গলবার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উপাচার্যের সঙ্গে সাংবাদিকতা বিভাগের চাকরিপ্রাথী অলিউল রহমানের একটি কথোপকথন ফাঁস হয়। সেখানে উপাচার্যের কণ্ঠের সদৃশ্য কাউকে বলতে শোনা যায় যে টাকা দিয়ে হলেও দুজন প্রার্থী সংগ্রহ করার কথা।
এছাড়াও নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন বিষয়ক আলাপন করতে শোনা যায়। পরে আরোও একটি আইডি হতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, ছাত্র, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও ছাত্রলীগ সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করা অডিও ফাঁস হয়।
এসব নিয়ে সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় থেকে অস্থায়ী চাকরিজীবী পরিষদ আন্দোলন করেন। একই সময় উপাচার্যের বাসভবনে তালাবদ্ধ করা হয়েছে। এসময় তারা উপাচার্যের অপসরণ চাই ও স্লোগানে স্লোগানে বিদ্রূপ মন্তব্য করেন।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদাত হোসেন আজাদ বলেন, আমরা আন্দোলনরতদের সঙ্গে কথা বলেছি। চেষ্টা করেছি তাদের আন্দোলন থামানোর কিন্তু তারা থামেনি। পরে অস্থায়ী চাকরিজীবী পরিষদের আন্দোলনের বিরতিতে প্রায় আধাঘণ্টা উপাচার্য মহোদয়ের কক্ষে কোন রেকডিং ডিভাইস বা সাদৃশ্য কিছু আছে কিনা তা খুঁজেছি।
তিনি আরও বলেন, প্রায় আধাঘণ্টা তল্লাশির পরো আমরা রুমে কিছুই পাইনি। এ বিষয়ে পরবর্তী নির্দেশনা পেলে আবারো সন্দেহভাজন জায়গাতে তল্লাশি পরিচালনা করবো।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালামের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে ফোন রিসিভ হয়নি।