শূন্য পদের বিপরীতে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের বদলির দাবি দীর্ঘদিনের। মঙ্গলবার তাদের এই দাবিতে সম্মতি দিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। আন্দোলনকারী শিক্ষক ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় উভয় সূত্রই এ খবর নিশ্চিত করেছে।
‘ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের বদলি গণবিজ্ঞপ্তি প্রত্যাশী ঐক্য পরিষদ সভাপতি প্রভাষক মো. সরোয়ার বলেন, মঙ্গলবার সচিবালয়ে শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি। তিনি আমাদের দাবি মেনে নিয়েছেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে অধিদপ্তর শিক্ষকদের বদলির ব্যবস্থা করার উদ্যোগ নেবেন বলে আমাদের কথা দিয়েছেন।
প্রভাষক মো. সরোয়ার আরও বলেন, শিক্ষা উপদেষ্টা আমাদের জানিয়েছেন, বদলি হবে এনটিআরসিএ’র মাধ্যমে। এজন্য সফটওয়্যার তৈরির নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আমাদের দীর্ঘদিনের দাবি মেনে নেওয়ায় প্রধান উপদেষ্টার কাছে আমরা আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ।
আরো পড়ুন: মাদরাসা শিক্ষকদের এমপিওর আবেদনের সময় কমলো
এর আগে, ২৪ ও ২৫ আগস্ট টানা দুইদিন শূন্য পদে বদলির দাবিতে লং মার্চ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন ইনডেক্সধারী বদলী প্রত্যাশীরা।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দ থেকে এনটিআরসিএ গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক সুপারিশ করে আসছে। প্রথম গণবিজ্ঞপ্তিতে উপজেলাভিত্তিক শিক্ষক সুপারিশ করার ফলে নিজ উপজেলায় শূন্য পদ না থাকায় অনেক শিক্ষক বাধ্য হয়ে মাদরাসায় ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন। দ্বিতীয় ও তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে মেরিট পজিশন অনুযায়ী জাতীয় পর্যায়ে শিক্ষক সুপারিশ করা হয়েছিল।
এনটিআরসিএর নিয়োগ পরিপত্র অনুযায়ী, একজন ইনডেক্সধারী শিক্ষক যেকোনো বয়সে পরবর্তী যেকোনো গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের মাধ্যমে মেরিট পজিশন অনুযায়ী প্রতিষ্ঠান পরিবর্তন করতে পারবেন। তাই দ্বিতীয় ও তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে অনেক নিবন্ধনধারী শিক্ষক নিজ এলাকায় শূন্য পদ না থাকায় দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে আবেদন করে সুপারিশ পেয়েছেন। কিন্তু পরিপত্র ২০১৫ এর ৭নং অনুচ্ছেদ সাময়িক স্থগিত করায় চতুর্থ ও পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তিতে ইনডেক্সধারীদের আবেদনের সুযোগ বন্ধ হয়ে যায়।