সাভার উপজেলার আশুলিয়ায় বকেয়া বেতনের দাবিতে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন দুটি কারখানার শ্রমিকেরা। আজ বুধবার সকালে ঢাকা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের (ডিইপিজেড) পুরোনো অংশের মূল ফটকে অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন কারখানার শ্রমিকদের ভেতরে ঢুকতে দেননি তাঁরা। বিক্ষোভ-অবরোধের কারণে আজ দুপুর পর্যন্ত সড়কটির দুই পাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
শ্রমিকদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। এ ছাড়া সমস্যার সমাধানে ডিইপিজেডের ভেতরে আন্দোলনরত শ্রমিকদের প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
আরো পড়ুন:যুগ্ম সচিবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সচিবালয়ে বিক্ষোভ কর্মচারীদের
বিক্ষোভকারী শ্রমিকেরা বলেন, চার বছর আগে শ্রমিকদের বেতন বকেয়া রেখে ডিইপিজেড এলাকায় বন্ধ হয়ে যায় ‘লেনী ফ্যাশনস’ ও ‘লেনী অ্যাপারেলস’ নামের দুই কারখানা। কারখানা দুটির শ্রমিকদের বকেয়া পরিশোধের জন্য ইতিমধ্যে একটি কারখানা বিক্রি করে দেয় বেপজা। সেই অর্থ ব্যাংকে জমা থাকলেও শ্রমিকদের বকেয়া এখনো পরিশোধ করা হয়নি।
বকেয়া বেতনের দাবিতে ওই দুই কারখানার শ্রমিকেরা গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের ডিইপিজেডের সামনের অংশ অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে রাত ৯টার দিকে মহাসড়ক ছেড়ে তাঁরা ডিইপিজেডের ফটকে অবস্থান নেন। সেখানে গতকাল সারা রাত অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা।
পরে আজ সকালে তাঁদের সঙ্গে আরও শ্রমিক যোগ দিয়ে ডিইপিজেডের মূল ফটকসংলগ্ন মহাসড়কেও অবস্থান নেন। সকালে পুরোনো ডিইপিজেডের বিভিন্ন কারখানার শ্রমিকেরা কাজে যোগ দিতে ফটকের সামনে গেলে তাঁদের বাধা দেন বিক্ষোভকারী শ্রমিকেরা। পরে কারখানায় ঢুকতে না পেরে শ্রমিকেরা ফিরে যান।
আন্দোলনকারী নারী শ্রমিক শামসুন নাহার বলেন, ‘বেপজা আমাগো পরিশ্রমের পাওনা ট্যাকা দিতাছে না। সবাইরে শুধু তারিখ দেয়। কিন্তু কোনো নুটিস দেয় না, ট্যাকাও দেয় না। ৩০ নভেম্বর দেওনের কথা ছিল, এখন উল্টাপাল্টা বলতেছে। বলতাছে ট্যাকা দিবে না।’ লেনি অ্যাপারেলসে ১১ বছর চাকরি করার দাবি করে ফিরোজ আহম্মেদ নামের এক ব্যক্তি বলেন, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত টাকা না দেওয়া হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। কেউ ইপিজেডে ঢুকতে পারবে না।’
সুত্র: প্রথমআলো