নিজস্ব প্রতিবেদক | ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২০
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জাতীয় সংসদকে জানিয়েছেন, সারাদেশে আরও ৬৫ হাজার ৬০০ টি মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম স্থাপনের কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সংরক্ষিত নারী এমপি সৈয়দা রুবিনা আক্তারের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী এ তথ্য জানান।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে ২০০৯ থেকে এ পর্যন্ত নির্বাচিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৩২ হাজার ৬৬৭টি মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম, এক হাজার ৪১১টি কম্পিউটার ল্যাব, ৩১টি ডিজিটাল ল্যাংগুয়েজ ল্যবরেটরি, ৬৪০টি আইসিটি লার্নিং সেন্টার এবং ৫০টি ক্লাস্টার সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে।
এমপি আছলাম হোসেন সওদাগরের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, দেশে যেসব উপজেলায় সরকারি বিদ্যালয় ও কলেজ নেই সেসব উপজেলায় একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজকে সরকারি করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ২০১৮ ও ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দে ২৯৬টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং ৩০২টি বেসরকারি কলেজ সরকারি করা হয়েছে।
কাজিম উদ্দিন আহম্মেদের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শ্রেণিকক্ষে সঠিকভাবে শিক্ষা প্রদানের জন্য ২০১৮–২০১৯ অর্থ বছরে ৬৫ হাজার ৮৫১ জন শিক্ষককে সৃজনশীল বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।
জামালপুরের এমপি মোজাফফর হোসেনের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যন্ড কলেজে বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে মাসিক বেতন বাবদ ইতোপূর্বে এক হাজার ৫০ টাকা এবং চলতি বছরে এক হাজার ৩৫০ টাকা হারে আদায়ের বিষয়ে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড তদন্ত করেছে। তদন্ত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের বিভিন্ন শাখায় কর্মরত শিক্ষক ও কর্মচারির সংখ্যা ৮৮৭ জন। এরমধ্যে ১১৬ জন শিক্ষক ও কর্মচারি সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত। বাকী ৭৭১ জন শিক্ষক ও কর্মচারি সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত নয়। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায় করা অর্থ ওই ৭৭১ জন শিক্ষক ও কর্মচারীর মাসিক বেতনভাতা, বাড়িভাড়া ও বার্ষিক ইনক্রিমেন্টসহ যাবতীয় সুযোগ–সুবিধা বাবদ খরচ করা হয়।
যেহেতু মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যন্ড কলেজ বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে মাসিক বেতন বাবদেআগে ১০৫০ টাকা হারে ও চলতি বছরে ১৩৫০ টাকা হারে আদায় করেছে, সেহেতু শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায় করা অর্থ আগামী ২২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ফেরত দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।