অনলাইন ডেস্ক,১৫ মে ২০১৯:
চলতি বছরেই ফের বাড়তে পারে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিদের । বিদ্যমান স্কেলে ১০ শতাংশ পর্যন্ত বেতন বাড়ানো হতে পারে।অর্থমন্ত্রণালয় সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানিয়েছে,মূল্যস্ফীতি সমন্বয়ের জন্য এই বেতন বাড়ানোর প্রস্তাব তৈরি করা হচ্ছে। তবে প্রস্তাবনাটি একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ে আছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এটি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। প্রস্তাবনাটি কার্যকর করার জন্য মন্ত্রীসভার অনুমোদন প্রয়োজন হবে।মন্ত্রীসভা এ প্রস্তাব অনুমোদন করলে চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে বর্ধিত এই বেতন পাবেন দেশে ১৩ লাখ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারি।
উল্লেখ,সর্বশেষ ২০১৫ সালে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিদের বেতন বাড়ানো হয়েছিল। সে সময় তাদের বেতন বেড়েছিল সর্বনিম্ন ৯১ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ১০১ শতাংশ পর্যন্ত।মূল বেতনের পাশাপাশি আবাসান,চিকিৎসা ও উৎসব ভাতাসহ অন্যান্য ভাতাও বাড়ানো হয়েছিল।তবে বর্ধিত ভাতা কার্যকর হয় ২০১৬ সালের ১ জুলাই।
বর্তমানে একজন সদ্য বিসিএস উত্তীর্ণ কর্মকর্তার মূল বেতন ২২ হাজার টাকা। এর সঙ্গে প্রযোজ্য আবাসান ভাতাসহ অন্যান্য ভাতা পেয়ে থাকেন।২০১৫ সালে নতুন বেতন স্কেল কার্যকর হওয়ার আগে তাদের মূল বেতন ছিল ১১ হাজার টাকা।
বর্তমানে বিদ্যমান বেতন স্কেল অনুসারে সর্বোচ্চ মূল বেতন ৭৮ হাজার টাকা। আর সর্বনিম্ন মূল বেতন ৮২৫০ টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. ফরাস উদ্দিনকে প্রধান করে সর্বশেষ পে কমিশন গঠন করা হয়েছিল। ওই কমিশনের সুপারিশ ছিল, পরবর্তীতে আর কোনো কমিশন গঠন না করে বিদ্যমান স্কেলের সঙ্গে মূল্যস্ফীতিকে সমন্বয় করে নিয়মিত বেতন বাড়ানোর।এর আলোকেই সরকার মূল্যস্ফীতি সমন্বয়ের বিবেচনায় রেখে বেতন-ভাতা বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে।
বর্তমান বাজেটে বেতন-ভাতা বাবদ বাজেটে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৫৮ হাজার ৫১২ কোটি টাকা।২০১৩-১৪ অর্থবছরের বাজেটে এই খাতে বরাদ্দ ছিল ২৮ হাজার ৭০৯ কোটি টাকা।
আরো পড়ুন