নিজস্ব প্রতিবেদক,১০ অক্টোবর:
বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যায় অংশ নেয়ায় হতবাক অনিক সরকার এবং মেহেদী হাসান রবিনের পরিবার। এরা দুজনই বুয়েটের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী।
অনিকের বিভাগ মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং। আর রবিনের কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং। দুজনেরই বাড়ি রাজশাহী। আবরার হত্যায় এরা দুজন গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকেই মুষড়ে পড়েছে তাদের পরিবার।
অনিক বুয়েট ছাত্রলীগের প্রচার ও গবেষণা সম্পাদক পদে ছিলেন। আর রবিন ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক। ইতিমধ্যেই তাদের সংগঠন থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে। আর এ হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয়ায় চুরমার হয়ে গেছে তাদের বাবা মায়ের স্বপ্ন। মেধাবি এ দুই শিক্ষার্থী আরেক মেধাবি শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে হত্যার মতো লোমহর্ষক ঘটনা ঘটিয়েছেন তা তারা এখনও মানতেই পারছেন না।
অনিক সরকারের বাড়ি রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার বড়ইকুড়ি গ্রামে। আবরার ফাহাদকে মদ্যপ অবস্থায় সবচেয়ে বেশি মারধর করেছে অনিক।
জিজ্ঞাসাবাদে অনিক জানায়, আবরারকে অন্তত দেড়শ বার আঘাত করেন তিনি। মারধরের সময় নিজের ভূমিকার বিষয়েও জিজ্ঞাসাবাদে তথ্য দিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, আবরার একেক সময়ে একেক তথ্য দিচ্ছিলেন। এজন্য তার মাথা গরম হয়ে যায়। ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি তাকে বারবার মারছিলেন। বর্বরোচিত নির্যাতনের একপর্যায়ে আবরার যখন নিস্তেজ হয়ে পড়ছিলেন, তারা বলছিল- ‘ও ঢং ধরেছে’।
হামলাকারীদের নানা পরামর্শ দেন বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল। আবরার হত্যা মামলায় গ্রেফতারকৃতরা রিমান্ডে এ ঘটনায় তাদের প্রত্যেকের ভূমিকার কথা তুলে ধরেন।
কয়েকজন ‘অনুতপ্ত’ হয়ে গোয়েন্দাদের এও বলেন, ‘ক্রসফায়ার নইলে ফাঁসি দিয়ে দেন। ওই হত্যার দায় নিয়ে বাঁচতে চাই না।’ একাধিক দায়িত্বশীল সূত্রে গতকাল এসব তথ্য পাওয়া গেছে।