ডাঃ এস কে দাসঃ
নারীর শরীরে প্রতি মাসে পাঁচ দিনের একটি সময়সীমা থাকে যখন ডিম্বপাত হয়।
ডিম্বপাতের তিন দিন আগে থেকে শুরু করে এক দিন পর পর্যন্ত হল গর্ভধারণের জন্য সবচাইতে উপযুক্ত সময়।
কারণ ডিম্ব কার্যকরী থাকে মাত্র ২৪ ঘণ্টা, কিন্তু শুক্রাণু নারীর শরীরে পাঁচ দিন পর্যন্ত কার্যকরী থাকতে পারে। এই সময়টাই গর্ভধারণ এর উপযুক্ত সময়।
এবার দেখব কিভাবে ঠিক করা যেতে পারে সন্তান ছেলে না মেয়ে হবে।
এজন্য জানতে হবে শুক্রাণুর প্রভাব।আমরা জানি xx হলে মেয়ে আর xy হলে ছেলে সন্তান হয়। মানুষের শুক্রাণু দুই ধরনের ক্রোমোজোম বহন করে; x ক্রোমোজোমধারী শুক্রাণু এবং y ক্রোমোজোমধারী শুক্রাণু। আর ডিম্বাণু তো সবসময় x ক্রোমোজোম ধারীই হয়। সুতরাং x ক্রোমোজোমধারি শুক্রাণু দ্বারা যদি x ক্রোমোজোমধারী ডিম্বানু নিষিক্ত হয়, ফলে জাইগোট xx হওয়ার কারণে সন্তান মেয়ে হবে, আবার Y ক্রোমোজোমধারি শুক্রাণু দ্বারা যদি x ক্রোমোজোমধারী ডিম্বানু নিষিক্ত হয়, ফলে জাইগোট XY হওয়ার কারণে সন্তানটি ছেলে হবে। Y শুক্রাণু তুলনামূলকভাবে অনেক ছোট, কিন্তু তা আবার বেশ দ্রুতগামী। তারা খুব বেশিক্ষণ জীবিত থাকে না। X শুক্রাণু বেশ বড় এবং ধীরগতির, কিন্তু তারা আবার একটু বেশ সময় বাঁচে।
ডিম্বপাত আর শুক্রানুর প্রভাব তো জানলেন। এখন কিভাবে কি করবেন? আপনি চাচ্ছেন ছেলে সন্তান। তাহলে Y ক্রোমোজোমধারী শুক্রানুকে খুব দ্রুত ডিম্বের কাছাকাছি পৌঁছাতে হবে। তাই নারীর যে দিনটিতে ডিম্বপাত হবে সে দিনেই স্বামী স্ত্রী সহবাস করতে হবে। অন্যথায় শুক্রানুটি আর কার্যকরী থাকবে না।
আর আপনি যদি মেয়ে সন্তান চান তবে ডিম্বপাত হওয়ার দুই থেকে তিন দিন আগে স্ত্রী সহবাস করতে হবে। ডিম্বপাত হবার আগেই সব Y শুক্রাণু মারা যাবে, ফলে ছেলে সন্তান হবার সম্ভাবনা থাকবেনা। আর তখন X ক্রোমোজোমধারী শুক্রাণুগুলো শুধু বেচে থাকবে। ফলে সন্তানটি হবে ফুটফুটে মেয়ে সন্তান, যেহেতু ছেলে সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা আর থাকছে না।