ডেস্ক,১০ অক্টোবর:
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা সাড়া ফেলেছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও। বিবিসি, রয়টার্স, ওয়াশিংটন পোস্ট, নিউইয়র্ক টাইমস, আল জাজিরা, গালফ নিউজসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে বুয়েটের বর্বর হত্যাকাণ্ডটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। উঠে এসেছে বাংলাদেশজুড়ে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের খবর।
৯ অক্টোবর বিবিসিতে প্রকাশিত খবর বলছে ৪ ঘণ্টা ধরে পিটিয়ে হত্যা করা হয় আবরার ফাহাদকে। বিবিসির ওই খবরে নাম প্রকাশ না করে প্রত্যক্ষদর্শী বুয়েটের এক শিক্ষার্থীর বরাত দিয়ে জানানো হয়, রোববার দিবাগত রাত দুইটার সময়ও জীবিত ছিলেন আবরার। বুয়েটের জুনিয়র কয়েকজন শিক্ষার্থী আবরারকে ধরে নিচের সিঁড়িতে নিয়ে যাচ্ছিল। সে সময় আবরার বলছিলেন, ‘আমাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাও।’ বুয়েটে এ ধরনের নির্যাতন ও সহিংসতার ঘটনা প্রায় ঘটে বলেও জানানো হয় বিবিসির ওই খবরে।
আবরার হত্যায় বুয়েটসহ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের খবর গুরুত্বসহকারে প্রকাশ করেছে রয়টার্স। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন সরকারের পানিচুক্তির সমালোচনা করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ায় আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করা হয় বলে রয়টার্সের খবরে জানানো হয়। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবির বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ করেছে রয়টার্স।
রয়টার্সের এই খবরটিই প্রকাশ করেছে নিউইয়র্ক টাইমস।
আবরার ফাহাদ হত্যার প্রতিবাদে বাংলাদেশে বিক্ষোভ শিরোনামে খবর প্রকাশ করেছে ওয়াশিংটন পোস্ট। ওই খবরে বলা হয়, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের পানিচুক্তির সমালোচনা করে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ায় আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। আবরার হত্যাকারীদের বিচার হবেই বলে সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া আশ্বাসের কথাও প্রকাশ করা হয়েছে।
আবরারকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনার প্রতিবাদে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের খবর প্রকাশ করেছে গালফ নিউজ।
গার্ডিয়ান প্রকাশ করেছে ছেলেকে পিটিয়ে হত্যার বিচার চাইলেন বাবা। আবরারকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনার প্রতিবাদে দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভের খবরও প্রকাশ করেছে গার্ডিয়ান। একই সঙ্গে আবরার হত্যার বিচার হবেই বলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া আশ্বাসের খবরও প্রকাশ করা হয়।
গত রোববার রাতে বুয়েটে ২০১১ নম্বর কক্ষে দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করেন ছাত্রলীগের কয়েকজন। আবরার হত্যায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ১৫ জনকে আটক করা হয়েছে। প্রথমে মামলার এজাহারভুক্ত ১০ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত মঙ্গলবার গ্রেপ্তার করা হয় আরও তিনজনকে। গতকাল বুধবার সন্দেহভাজন একজনকে আটক করা হয়। আর আজ আটক হন আরও একজন।