আগের অর্থাৎ ২০১২ সালে প্রণীত শিক্ষাক্রমের আলোকে আগামী বছরের পাঠ্যবই পরিমার্জনের কাজ চলছে। আসছে বছর জানুয়ারি মাসেই প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের হাতে বই পৌঁছানো সম্ভব হবে বলে আশা জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি)।
বুধবার (২ অক্টোবর) রাতে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন এনসিটিবির চেয়ারম্যান এ কে এম রিয়াজুল হাসান।
তিনি বলেন, ২০১২ সালের শিক্ষাক্রমের আলোকেই আগামী বছরের পাঠ্যবই পরিমার্জনের কাজ চলছে। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি বছরের শুরুতেই শিক্ষার্থীদের হাতে পরিমার্জিত পাঠ্যবই পৌঁছানোর। জানুয়ারি মাসেই শিক্ষার্থীরা বই হাতে পাবেন বলে আমরা আশাবাদী।
এনসিটিবির চেয়ারম্যান আরও বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত মিল মালিক ও প্রেসগুলোর সঙ্গে আলোচনা করছি। কাগজের মজুদ কি রকম আছে, ছাপাতে কি রকম সময় লাগবে-এসব বিষয়ে খোঁজ খবর নিচ্ছি। খুব শিগগিরই মিল মালিক, প্রেস মালিক ও শিক্ষা প্রশাসনের একটি ত্রিপাক্ষিক বৈঠক আয়োজনের আলোচনা চলছে। আমরা বই বছরের শুরুতেই শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছাতে চাই।
দায়িত্ব নেয়ার ২৩দিনের মাথায় নতুন শিক্ষাক্রম বা জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা-২০২১ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয় বলছে, শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নযোগ্য নয়। তাই ২০২৫ সালে পরিমার্জিত শিক্ষাক্রম চূড়ান্ত করে ২০২৬ সাল থেকে তা পরিপূর্ণরূপে কার্যকর করা হবে। তার আগে ২০২৫ সালে শিক্ষার্থীদের জন্য অনেকটা আগের শিক্ষাক্রমের ধাঁচের পাঠ্যবই বিতরণ করা হবে।