ডেস্ক,৩ মার্চ ২০২২৩: অষ্টম ও দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের স্কুল পরিবর্তন বা টিসি ও বোর্ড পরিবর্তনের আবেদন গ্রহণ শুরু হয়েছে। আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের টিসির আবেদন চলবে।
দশম শ্রেণির নিয়মিত ও অনিয়মিত যেসব শিক্ষার্থী পাবলিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য ফরম পূরণ করেননি তারা স্কুল পরিবর্তনে ছাড়পত্র বা টিসি গ্রহণে অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। দশম শ্রেণির বোর্ড পরিবর্তনের আবেদন হবে ম্যানুয়ালি। অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা বোর্ড পরিবর্তনের ছাড়পত্র পেতে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে আবেদন করতে পারবেন।
আরো পড়ুন: বৃত্তি পরীক্ষার সংশোধিত ফলাফল: এ মেয়েটির দায় কে নেবে?
বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড থেকে জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বোর্ড জানিয়েছে, ২০২৩ সালের দশম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত নিয়মিত এবং অনিয়মিত শিক্ষার্থী যারা পাবলিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য ফরম পূরণ করেনি তাদের বিদ্যালয় পরিবর্তন বা ছাড়পত্র গ্রহণের জন্য অনলাইনে আবেদন করতে হবে। আবেদনের সময়সীমা ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে।
দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের অনলাইনে টিসি আবেদন করতে প্রথমে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইট (www.dhakaeducationboard.gov.bd) এ প্রবেশ করে ইটিসি (e-TC) বাটনে ক্লিক করে টিসি আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে। ফরম পূরণের পর নির্দিষ্ট বাটনে ক্লিক করে (Submit your Application) তা সাবমিট করতে হবে। আবেদন সাবমিট হওয়ার পর শিক্ষার্থীর দেয়া মোবাইল নম্বরে একটি গোপনীয় কোডসহ (Security code) এসএমএস যাবে এবং এই কোড (Security code) দিয়ে শিক্ষার্থী পরবর্তীতে তার আবেদনে প্রবেশ করতে পারবে।
শিক্ষার্থী অনলাইনে আবেদন সাবমিট করার পর যে সোনালী সেবা স্লিপ পাবে সেটি প্রিন্ট নেবে এবং পরবর্তীতে সোনালী ব্যাংকের যে কোন অনলাইন শাখা হতে সোনালী সেবার স্লিপের মাধ্যমে টিসি ফি বাবদ ৭০০ টাকা জমা দেবে।
শিক্ষার্থী সঠিকভাবে আবেদন সাবমিট করলে অধ্যয়নরত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অর্থাৎ প্রথম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান একটি এসএমএস পাবে। তখন ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বোর্ডের ওয়েবসাইটে গিয়ে ওইএমএসের (OEMS) মাধ্যমে লগইন (Login) করে ট্রান্সফার সার্টিফিকেট (Transfer Certificate) অপশনে ক্লিক করলে টিসির আবেদন দেখতে পারবে। অতঃপর প্রতিষ্ঠান আবেদনটি অগ্রায়ণ (Forward) বা বাতিল (Reject) করবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক,৩ মার্চ ২০২৩: প্রথম বিদ্যালয় আবেদনটি অগ্রায়ন (Forward) করার পর টিসির জন্য আবেদনকৃত বিদ্যালয় অর্থাৎ ২য় বিদ্যালয় একইভাবে ওইএমএসের (OEMS) মাধ্যমে লগইন (Login) করে ট্রান্সফার সার্টিফিকেট (Transfer Certificate) অপশনে ক্লিক করলে আবেদন দেখতে পারবে। অতঃপর ওই প্রতিষ্ঠানও আবেদনটি অগ্রায়ণ (Forward) বা বাতিল (Reject) করবে।
টিসির জন্য আবেদনকৃত বিদ্যালয় অর্থাৎ ২য় বিদ্যালয় টিসি আবেদন অগ্রায়ণ করলে শিক্ষার্থী একটি এসএমএস পাবে। তখন সে সোনালী সেবার মাধ্যমে টিসি ফি জমা দেবে। সোনালী সেবার স্লিপ বোর্ডে জমা দেয়ার প্রয়োজন নেই। এটি শিক্ষার্থী সংরক্ষণ করবে।
শিক্ষার্থী তার আবেদন কোথায় কোন অবস্থায় আছে জানার জন্য ঢাকা বোর্ডের ওয়েবসাইটে গিয়ে ইটিসি (e-TC) বাটনে ক্লিক করে ট্রান্সফার সার্টিফিকেট স্ট্যাটাসে গিয়ে (Transfer Certificate Status) তার আবেদনের অবস্থান জানতে পারবে।
টিসির জন্য আবেদনকৃত বিদ্যালয় কর্তৃক আবেদন অগ্রায়ণ (Forward) এবং শিক্ষার্থীর ফি জমা দেয়ার পর বোর্ড কর্তৃক টিসি আবেদন অনুমোদন বিবেচনা করা হবে। টিসি আবেদন অনুমোদন হলে শিক্ষার্থী একটি এসএমএস পাবে। তখন বোর্ডের ওয়েবসাইট থেকে এটি প্রিন্ট নিয়ে বদলিকৃত প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে পারবে।
বোর্ড আরও জানিয়েছে, একই সাথে বোর্ড পরিবর্তন ও অষ্টম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের ছাড়পত্র দেয়ার কার্যক্রমও চলবে। তবে বোর্ড পরিবর্তন ও ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ছাড়পত্রের আবেদন অনলাইনে সম্পন্ন হবে না। ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে সম্পন্ন হবে । ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের আওতাধীন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীকে অন্য যে কোন বোর্ডের আওতাধীন প্রতিষ্ঠানে যেতে হলে ঢাকা বোর্ডের ওয়েবসাইট থেকে টিসি ফরম ডাউনলোড করে সঠিকভাবে পূরণ করে দুই বিদ্যালয়ের প্রধানের সুপারিশসহ এবং ফরমের নির্দেশনা মোতাবেক ঢাকা বোর্ডে জমা দিয়ে একটি টিএন (TN) নম্বর সংগ্রহ করতে হবে। অন্য যেকোনো শিক্ষা বোর্ড থেকে আগত শিক্ষার্থীর একইভাবে ফরম পূরণ করে টিসির মাধ্যমে ভর্তিচ্ছু বিদ্যালয়ের প্রধানের সুপারিশ এবং পূর্ববর্তী শিক্ষা বোর্ডের টিসির আদেশের কপিসহ ফরমের নির্দেশনা মোতাবেক ঢাকা বোর্ডে জমা দিয়ে একটি টিএন (TN) নম্বর সংগ্রহ করতে হবে।
বোর্ড কর্তৃক টিসি আবেদন অনুমোদনের পর অনুমোদনের কপি বোর্ডের ওয়েব সাইট প্রকাশ করা হবে (www.dhakaeducationboard.gov.bd) শিক্ষার্থী বোর্ডের ওয়েবসাইটে গিয়ে স্কুল অর্ডার (School Order) বাটনে ক্লিক করলে টিসির অফিস আদেশ দেখতে পারবে এবং টিএন (TN) অনুযায়ী প্রিন্ট দিয়ে বিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারবে।