ঠাকুরগাঁওয়ে তিনটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অবৈধভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত ৬ সহকারী শিক্ষিকা প্রায় চার বছর ধরে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থেকেও নিয়মিত বেতন-ভাতা তুলছেন। এ ঘটনায় ৬ সহকারী শিক্ষিকাসহ তৎকালীন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও উপজেলা শিক্ষা অফিসের অফিস সহকারীকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগ দিয়েছে দুদক।
গত মঙ্গলবার (২৫ জুন) জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এ অভিযোগপত্র জমা দেন ঠাকুরগাঁও দুর্নীতি দমন কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয় সহকারী পরিচালক আজমির শরিফ মারজী।
আরো পড়ুন: উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে চাঁদা দাবির ভিডিও ভাইরাল
অবৈধ নিয়োগপ্রাপ্ত ৬ শিক্ষিকা হলেন, সদর উপজেলার দেহন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক সহকারী শিক্ষক কৌশলা রানী ও ভারতী রানী রায়। কৌশলা রানী বর্তমানে ৮নং আখানগর আর্দশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এবং ভারতী রানী রায় সদর উপজেলার কাশিডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি করছেন। এছাড়াও ভুয়া কাগজে নিয়োগ নিয়েছেন আখানগর ধনীপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়য়ের সাবেক সহকারী শিক্ষিকা মোছা. নাহিদ পারভীন ও লতা বালা। মোছা. নাহিদ পারভীন বর্তমানে গাইবান্ধা সদরের চাপাদহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এবং লতা বালা সদর উপজেলার মাধবপুর যোতপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা। একইভাবে নিয়োগ নিয়েছেন সদর উপজেলার সেনিহারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক সহকারী শিক্ষিকা লিলি রানী রায় ও সুইটি রানী রায়। লিলি রানী রায় বর্তমানে কালীতলা কান্দরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এবং সুইটি রানী রায় একই স্কুলে কর্মরত আছেন।
এছাড়াও অভিযুক্তরা হলেন, তৎকালীন ঠাকুরগাঁও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও বর্তমানে নীলফামারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এ এম শাহজাহান সিদ্দিক ও সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসের অফিস সহকারী সলিম উদ্দিন।