চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর বিষয়ে ইতিবাচক চিন্তাভাবনা করা হলেও চাকরি থেকে অবসরের বয়সসীমা বাড়ানোর পরিকল্পনা নেই সরকারের। দেশের বেকার সমস্যার কথা বিবেচনা করে অবসরের বয়সসীমা বাড়াতে চায় না সরকার।
বুধবার (০২ অক্টোবর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ পর্যায়ের একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানা গেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব পদমর্যাদার এক কর্মকর্তা বলেন, ‘দেশে চাকরির বাজার সংকুচিত হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের গন্ডি পেরিয়ে অনেকেই বেকার থাকছেন। এ অবস্থায় অবসরের বয়সসীমা বাড়ানো হলে বেকারত্বের হার বাড়বে, চাকরির বাজার সংকুচিত হবে। তরুণদের চাকরির সুযোগ করে দিতে চাকরি থেকে অবসরের বয়সসীমা আপাতত বাড়ানোর চিন্তা সরকারের নেই।’
চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন একদল চাকরিপ্রত্যাশী। ছাত্র–জনতার আন্দোলনের মুখে দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর কয়েক দফায় কর্মসূচি পালন করেছেন তাঁরা। গত ৩০ সেপ্টেম্বর চাকরিপ্রার্থীদের তীব্র আন্দোলনের মুখে বয়সসীমা বৃদ্ধি সংক্রান্ত একটি কমিটি গঠন করে সরকার।
এই কমিটির প্রধান করা হয় সাবেক সচিব আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরীকে, যিনি জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান। কমিটির সদস্যসচিব জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব। বুধবার সকালে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন কমিটির সদস্যরা।
সভা শেষে বয়সসীমা বৃদ্ধির জন্য গঠিত কমিটির আহ্বায়ক আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী বলেন, চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার বিষয় নিয়ে যে দাবি আসছে সেটা যৌক্তিক মনে করছি আমরা। পৃথিবীর অন্যান্য দেশে চাকরির বয়সসীমা নেই। আমরা সেসব বিবেচনায় নিয়ে একটা সিদ্ধান্ত নেবো। আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।