জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আইন বিভাগের ছাত্রী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটর সদস্যরা। শুক্রবার তারা অবন্তিকার মা তাহমিনা বেগম ও তার ভাই জারিফ জাওয়াদের সঙ্গে কথা বলেন।
তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন বলেন, অবন্তিকা আমাদের ছাত্রী ছিলেন, তার এমন মৃতুতে আমরা মর্মাহত। তাকে আর ফিরিয়ে আনা যাবে না এটা সত্য, কিন্ত পরিবার যেনো বিচারটা পায় সেই লক্ষে্ আমরা তদন্তের কাজ করছি। আমরা ফরমালি এবং আনফরমালি তদন্তের বিষয়ে তার মায়ের সঙ্গে প্রায় দেড় ঘণ্টা কথা বলেছি।
অবন্তিকার মা তাহমিনা বেগম সাংবাদিকদের বলেন, মেয়ে জীবিত থাকতে বিচার পায়নি। আমার মেয়ের জীবনটা শেষ হয়ে গেলো। কতো স্বপ্ন ছিলো মেয়েটাকে নিয়ে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এখন যতোটা আন্তরিক, আগে তা থাকলে হয়তো মেয়েকে হারাতে হতো না।
এদিন তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন ছাড়াও কমিটির সদস্য সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবুল হোসেন, আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এস এম মাসুম বিল্লাহ, সংগীত বিভাগের চেয়ারম্যান সহযোগী অধ্যাপক ঝুমুর আহমেদ, সদস্য সচিব ডেপুটি রেজিস্ট্রার রঞ্জন কুমার এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষে সহকারী প্রক্টর মুনিরা জাহান সুমি অবন্তিকার অবন্তিকার মা তাহমিনা বেগম ও তার ভাই জারিফ জাওয়াদের সঙ্গে কথা বলেন।
প্রসঙ্গত, গত ১৫ মার্চ রাতে কুমিল্লা নগরীর বাগিচাগাও এলাকার অরণি নামের বাসায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন অবন্তিকা। এর আগে একটি ফেসবুকে স্ট্যাটাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকিকে মৃত্যুর জন্য দায়ী করেন তিনি। তার মায়ের করা আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলায় সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকী বর্তমানে কুমিল্লা কারাগারে আছেন।